
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম ও সর্বাধিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তিনি এই নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এক অনন্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শনিবার (আজ) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে এবার যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক। দেশের জনগণ এর মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।”
উল্লেখযোগ্য যে, এএনএফআরইএল হলো একটি আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, যারা এশিয়াজুড়ে গত দুই দশক ধরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ব্রিজা রোসালেস, বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র কর্মসূচির পরামর্শক মে বুটয়, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার থারিন্ডু আবেরত্না, প্রোগ্রাম অফিসার আয়ান রহমান খান এবং প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আফসানা আমেই।
বৈঠকে তারা বাংলাদেশে এএনএফআরইএলের চলমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করেন এবং নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নাগরিক-চালিত ব্যবস্থাপনাকে পুনর্গঠনের ওপর জোর দেন।
তারা জানান, স্টেকহোল্ডার ম্যাপিং ও প্রয়োজন নির্ধারণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুশীল সমাজের অংশগ্রহণ ও নির্বাচনী স্বচ্ছতা বাড়ানো সম্ভব।
প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং জানায়, বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্বাচন আয়োজনে তারা সরকার ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে দেশের নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আগামী দিনের একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী চিত্র উপহার দিতে পারে।