রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সম্প্রতি গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক থাকা এক রুশ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পর তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির বরাতে জানা যায়, ফেব্রুয়ারিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই রুশ নাগরিক ত্রুফানোভের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পুতিন হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পুতিন বলেন, “হামাসের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। আমাদের অনুরোধে তারা মানবিকতা দেখিয়েছে এবং আমাদের নাগরিককে মুক্ত করেছে। আপনাকে অভিনন্দন জানাই।”
এ সময় তিনি স্পষ্ট করে জানান, রাশিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে এবং যারা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে। পুতিন আরও বলেন, “আমরা চাই সব রুশ বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত হোক এবং এজন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।”
রুশ প্রেসিডেন্ট হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকাকে ‘মানবিক সাড়া’ হিসেবে মূল্যায়ন করেন, তবে এই বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘর্ষ ও মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুতিনের এই মন্তব্য বিশ্ব কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রাশিয়া বরাবরই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে এক ধরনের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিলেও, এবার পুতিনের সরাসরি হামাসকে ধন্যবাদ জানানোর ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে গাজা উপত্যকায় ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জনের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অপরদিকে, ইসরায়েলি কারাগারে ৯ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে, যাদের মুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের অবস্থান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি এক ধরনের নৈতিক সমর্থন হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।