আজ বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট’ ব্যানারে মহাসমাবেশ শুরু করেন সারা দেশ থেকে আসা শিক্ষক ও কর্মচারীরা। মূল দাবি—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি পূর্ণ জাতীয়করণ এবং সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের ভাতা ও সুবিধা নিশ্চিত করা।
সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাব, পল্টন, হাইকোর্ট এবং শাহবাগমুখী সড়কে সকাল থেকেই যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিছু রুট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ওই পথে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিপরীতমুখী সড়কে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আন্দোলনকারীদের অবস্থান:
সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষকরা ঘোষণা দেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা প্রেসক্লাব এলাকা ছাড়বেন না। তবে পূর্বনির্ধারিত সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রার পরিবর্তে পুলিশের সহায়তায় একটি ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার জন্য সচিবালয়ে যায়।
দাবির বিস্তারিত:
জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের টানা ২২ দিনের আন্দোলনের ফলে সাবেক শিক্ষা উপদেষ্টা ও বর্তমান পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিকেল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান এবং সর্বজনীন বদলি চালু করতে হবে। পাশাপাশি এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের আওতায় আনতে হবে।”
জোটের সদস্য সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন আজিজী অভিযোগ করেন যে, সরকার বারবার আলোচনা ও অনুরোধ সত্ত্বেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। “আমরা বারবার আলোচনায় গিয়েছি, টেবিল কনফারেন্স করেছি, সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আজকে আমাদের এই মহাসমাবেশ।”
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন আরও কঠোর করা হবে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে।