মাছপ্রেমী বাঙালির পাতে রুই-কাতলা বা ইলিশের জায়গা দিন দিন দখল করে নিচ্ছে স্বল্পদামি পাঙাশ মাছ। অনেকেই মনে করেন, কম দামের কারণে পাঙাশে পুষ্টিগুণ কম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে চাষ ও রান্না করলে এই মাছ হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস।
পুষ্টিগুণে ভরপুর পাঙাশ
পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম পাঙাশ মাছে পাওয়া যায় ৬৭৬ কিলোক্যালরি শক্তি, ১৫ গ্রাম আমিষ, ১১ গ্রাম ফ্যাট, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, ১৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস এবং ১.৮৫ মিলিগ্রাম জিংক। এছাড়া, এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কেন খাবেন পাঙাশ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাঙাশ মাছ হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে কার্যকর এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া, এতে থাকা প্রোটিন শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে সাবধানতা প্রয়োজন
বর্তমানে অধিকাংশ পাঙাশ মাছ পুকুরে চাষ করা হয়, যেখানে ব্যবহৃত খাবার ও রাসায়নিক উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হলে তা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের ক্ষতি করতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, পাঙাশে অতিরিক্ত তেল থাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করা এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রান্না করাই পাঙাশ মাছ খাওয়ার সঠিক উপায়।