দেশের যুব সমাজের জন্য সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণ চালুর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে।
তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলনের শেষ দিনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ জানান, এক জেলা প্রশাসকের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়টি আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ প্রজন্ম সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিরক্ষায় অবদান রাখতে পারে। তবে এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যার জন্য আর্থিক বিবেচনাও জরুরি। সরকার অনুমোদন দিলে সশস্ত্র বাহিনী এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত আছে।” এছাড়াও, সম্মেলনে বেসামরিক প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আবদুল হাফিজ জানান, আগস্টের অস্থিরতার সময় লুট হওয়া ৬,০০০ অস্ত্রের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো ১,৪০০ অস্ত্র এবং ২,৫০,০০০ রাউন্ড গুলি নিখোঁজ রয়েছে। তিনি বলেন, “যৌথ বাহিনী অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।”
এছাড়া, তিনি সতর্ক করে বলেন, “স্বৈরাচারী শক্তি ও তাদের মিত্ররা নতুন করে সংগঠিত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
আসন্ন রমজান উপলক্ষে বাজার স্থিতিশীল রাখা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দেন হাফিজ। তিনি ডিসিদের এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “মানুষ রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সুলভ মূল্যে পেতে চায় এবং ঝামেলাবিহীন সরকারি সেবা প্রত্যাশা করে। পর্যায়ের কর্মকর্তারাই সরকারের প্রকৃত প্রতিনিধি।”দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমন্বয় আনার লক্ষ্যে ডিসি সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের বাস্তবায়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করার বিষয়ে সরকারী সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে প্রশাসন।