ক্রিকেট বিশ্বে বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ দল। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। এমন ফলাফলে হতবাক ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দুর্বল বোলিং ও বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয় আমিরাত। দ্বিতীয় ম্যাচে তো আরও করুণ অবস্থা। ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করলেও ১৩৮ রানের লক্ষ্যকেও রক্ষা করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে আমিরাত।
এই হারের ফলে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপে ভরাডুবি ও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও ব্যর্থতা মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচক কমিটি, টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কত্ব নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ‘চাহিদার চেয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ করছে, যার ফলে মূল খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ দেওয়া উচিত হলেও অভিজ্ঞদের একদম বাদ দিয়ে টিম কম্বিনেশন তৈরি করায় এমন বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানো মানেই সেটা সম্মানের, সেখানে প্রতিটি বল, প্রতিটি রান মূল্যবান। এমন হারের কোনো অজুহাত চলে না।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি, তবে বোর্ডের অভ্যন্তরে বড় ধরনের রদবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কোচিং স্টাফ, অধিনায়ক এবং নির্বাচক প্যানেল নিয়ে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দেশের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েও চলছে সমালোচনার ঝড়।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরকে সামনে রেখে এ ধরনের ফলাফলে দল পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র কৌশল নয়, খেলোয়াড়দের মানসিক দৃঢ়তাও এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।