‘ভ্লাদিমির পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন’: ক্ষুব্ধ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

0
7

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে উত্তেজনার মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ঘিরে কঠোর মন্তব্য করে বিশ্ব মিডিয়ার নজর কেড়েছেন। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন।” আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে, যখন রাশিয়া কিয়েভে ব্যাপক বিমান ও ড্রোন হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৩ জন মানুষকে হত্যা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা ইউক্রেন যুদ্ধের এক ভয়াবহ মোড় নির্দেশ করে। ট্রাম্পের মতে, এই ধরনের আক্রমণ অযৌক্তিক এবং বিপজ্জনক।

পুতিনকে ‘পাগল’ বললেন ট্রাম্প
ট্রাম্প আরও বলেন, “ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন যা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে তিনি একেবারে পাগল হয়ে গেছেন।” এমনকি তিনি অভিযোগ করেন, যদি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “পুতিন বুঝতেই পারছেন না যে আমি না থাকলে রাশিয়ার জন্য অনেক খারাপ কিছু ঘটতে পারত।” ট্রাম্পের এই বক্তব্য মূলত তাঁর নিজের প্রশাসনের সময় শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক ভারসাম্যের ইঙ্গিত দেয়।

নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত
সিএনএন এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। যদিও তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নন, তবে রিপাবলিকান দলের অন্যতম প্রধান প্রার্থী হিসেবে আগামী নির্বাচনে তার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।

গত রবিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছি।” এ বক্তব্যে স্পষ্ট, ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনের বর্তমান অবস্থান ট্রাম্পের অসন্তুষ্টির বড় কারণ।

সম্পর্কের মোড় ঘোরানো অবস্থান
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় পুতিনের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাবের জন্য তিনি একাধিকবার আলোচিত হয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষ এবং মস্কোর শান্তি আলোচনার অনীহা ট্রাম্পকে মনোভাব পরিবর্তনে বাধ্য করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই ধরনের ভাষ্য কেবল পুতিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নয়, বরং আগামী নির্বাচনে নিজের পররাষ্ট্র নীতি দৃঢ় ও কার্যকর প্রমাণ করার প্রচেষ্টাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here