বুধবার ,২৭ মার্চ, ২০২৪
sbacbank
Home Blog Page 2

দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আকিজ পাইপ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

0

শুরু থেকেই গুণমান ও উদ্ভাবনের প্রতি আকিজ গ্রুপের অটল প্রতিশ্রুতির জন্য স্বীকৃত আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে পেরে তারা আজ গর্বিত। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর অন্যতম বাজারে এই অবস্থান প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

উৎপাদনে শ্রেষ্ঠত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খুব স্বল্প সময়ের মাঝে আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস এখন অনুসরনীয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে, আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস বাংলাদেশ ও বিশ্ব বাজারে প্রিমিয়াম পাইপ ও ফিটিংসের বিশ্বস্ত নাম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বিশ্ব বাজারে আকিজ পাইপস-এর পণ্য রপ্তানির যাত্রা নিয়ে, আকিজ গ্রুপের সিইও শেখ আজরফ উদ্দিন বলেন, “মার্কিন বাজারে আমাদের এই রপ্তানি শুধু একটি ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি নয়; এই বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আকিজ পাইপস ও ফিটিংসের প্রতিশ্রুতির একটি মাইলফলক। তাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা কেবল নির্ভেজাল ও মানসম্পন্ন পণ্য প্রস্তুতকারক হওয়া নয়; আকাঙ্ক্ষা নির্মাণ শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠার, উদ্ভাবন ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবী জুড়ে, পাইপ ও ফিটিং ব্যবহারের যুগান্তকারী সমাধান সরবরাহ করা এবং নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করা।”

আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস-এর হেড অব বিজনেস জনাব পরিতোষ চন্দ্র মিত্র, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক লক্ষ্যগুলির উপর জোর দিয়ে বলেন, “মার্কিন বাজারে প্রবেশের লক্ষ্য শুধুমাত্র বিশ্বের দরবারে নিজেদের পরিচিত করা নয় বরং প্লাম্বিংয় ও নির্মাণ প্রয়োজনে আকিজ পাইপস এবং ফিটিংসকে একটি নির্ভরযোগ্য নাম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের লক্ষ্য সবথেকে সেরা পণ্য ও আন্তরিক সেবা প্রদান করা।

জনাব মোহাম্মদ কে আলম, এক্সপোর্ট পার্টনার, আকিজ পাইপস অ্যামেরিকা, সম্প্রতি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত কারখানা পরিদর্শন করেন এবং উৎপাদনে নিয়োজিত অত্যাধুনিক জার্মান যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দেখে গভীরভাবে মুগ্ধ হয়ে জনাব আলম বলেন, “আকিজ পাইপসে জার্মান প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশী কারুশিল্পের মধ্যে সমন্বয় সত্যিই অসাধারণ। উদ্ভাবন এবং গুণমানের প্রতি তাদের এই অটল প্রতিশ্রুতিই তাদেরকে মার্কেট লিডার করে তুলেছে। আমি আকিজ পাইপ্সের সাথে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব বজায় রাখাতে উন্মুখ।”

আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস যে গুণগত মানে সেরা ও নির্ভরযোগ্যতার নাম হিসেবে সুপরিচিত, মার্কিন বাজারে প্রবেশ করার সাথে সাথে গ্রাহকরা সেই একই গুণগত মান ও নির্ভরযোগ্যতা ভোগ করবেন। ভোক্তাদের বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য তৈরি একটি বিস্তৃত পণ্য পরিসরের সাথে, কোম্পানিটি প্লাম্বিং ও নির্মাণ খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত।

মার্কিন বাজারে এই পরিকল্পিত সম্প্রসারণ উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের প্রতি আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংসের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। গুণগত মানের সাথে শিল্পমানের এক অসাধারণ কম্বিনেশনে আকিজ পাইপস অ্যান্ড ফিটিংস মার্কেট লিডার হিসেবে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করবে।

আকিজ পাইপস এবং ফিটিংস এবং এর পণ্য সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে ভিজিট করুন akijpipes.com

আরেকটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের

0

আরো একটি রাশিয়ার এ-ফিফটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেন এমন দাবি জানাল।

গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার রস্তোফ-অন-ডন ও ক্রাসনোদর শহরের মধ্যবর্তী জায়গায় গোয়েন্দা বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। সমরস্থল থেকে এই জায়গাটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছেন কানেভস্কো এলাকায় বিমানের খণ্ডিত অংশ খুঁজে পাওয়া গেসে এবং আগুন নিভিয়েছে।

তবে ইউক্রেনের এই দাবির পর এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। আজকে শনিবার পূর্ণ হল রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের দুইটি বছর।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর প্রধান মিকোলা ওলেশচাক তাঁর সেনাবাহিনী ও সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিমানটি দূরপাল্লার রাডার শনাক্তকারী ছিল।

মিকোলা ওলেশচাক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘দখলদারদের অভিনন্দন’।

অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে বিমানটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার মুহূর্তে প্রচুর কালো ধোঁয়া ও আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলা ভাষা

0

‘সারি সারি মুখ আসে আর যায়/নেশাতুর চোখ টিভি পর্দায়।’ গত শতকের নব্বইয়ের দশকে এই গান গেয়েছিল সংগীত দল মহীনের ঘোড়াগুলি। একুশ শতকের তৃতীয় দশকে নেশাতুর মুখ এখন ঢুলে পড়েছে মোবাইলের পর্দায়।

বাংলাভাষীরা প্রবেশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তির ভিন্ন এক দুনিয়ায়; ছবির পর ছবি, মুখের পর মুখ ভেসে ওঠে, ডুবে যায় রঙিন আলোর মায়া-মদির স্রোতে। নতুন এক সমাজব্যবস্থার বাসিন্দা আমরা; রক্তমাংসের উপস্থিতি সেখানে মুখ্য নয়। অথচ সেই উপস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীর সম্ভাব্য সব প্রান্তে। প্রযুক্তিকেন্দ্রিক এই ব্যবস্থাকেই আমরা বলছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি হাতের মুঠোয় বয়ে নিয়ে বেড়ায় শত শত সমাজ ও সামাজিক সম্পর্ক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাংলাকে অনেকে বলেন ফেইসবুকীয় বাংলা; বাংলাভাষীয় জনগোষ্ঠীর কাছে ফেইসবুক অধিকতর জনপ্রিয় বলে এই নামকরণ। যদিও বাঙালিদের ব্যবহার তালিকায় আছে ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইনের মতো সাইট। ফেইসবুকের রাজত্বে এক সময় বাংলা লিখতে হতো রোমান হরফে। তখন একে বলা হতো ‘মুরাদ টাকলা’ বাংলা। ‘মুরোদ থাকলে আয়’ এরকম একটি মেসেজে রোমান হরফে লেখা হয়েছিল Murad takla; তারই ভুল পাঠ হিসেবে বাংলায় হয়ে গেছে ‘মুরাদ টাকলা’। এই শব্দযুগল বোঝাত ইংরেজি বর্ণমালা সহযোগে লেখা ভুল বানান, বাক্য ও অর্থগত বিভ্রান্তি যুক্ত বাংলা।

অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাঙালি পেয়েছে বাংলা হরফে লেখার সুযোগ। ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিজস্ব বাংলা। হাত খুলে লেখার সুযোগ বাঙালি মোটেও ছাড়েনি। বিষয়ের বৈচিত্র্য অনুযায়ী আমরা দেখতে পেলাম বাংলার বিভিন্ন রূপ। ব্যক্তির অঞ্চল, শ্রেণি, ধর্ম, পেশা, লৈঙ্গিক পরিচয়, সামাজিক স্তরবিন্যাস প্রভাব ফেলেছে এই ভাষার ওপর। মানুষ যেমন ব্যক্তিভাষার প্রয়োগ ঘটাচ্ছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভাষাকেও সে গ্রহণ করছে। সামগ্রিকভাবে প্রত্যক্ষ সমাজের ভাষা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাষার মিথস্ক্রিয়ামূলক সম্পর্ক নতুন ভাষিক বাস্তবতাকে হাজির করেছে। কী সেই বাস্তবতা?

‘কেউ আমারে মাইরালা’, ‘কুল মাম্মা কুল’, ‘আবার জিগায়’, ‘অফ যা’, ‘মজা লস’, ‘পুরাই টাশকি’, ‘প্যারা নাই’, ‘ফাঁপর লয়’ ‘হেই ব্রো’, ‘খাইতে মুঞ্চায়’ ‘কিয়েক্টাবস্থা’-এ ধরনের প্রচুর বিকৃত শব্দ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে ঘুরছে। আবার টেলিভিশন নাটকের সংলাপেও অনেক উদ্ভট শব্দ শুনতে পাওয়া যায়।

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গ ও উত্ত্যক্ত (ট্রল) করতে কিংবা ইউটিউব বা টিকটকের কিছু বিনোদনধর্মী ভিডিওতে বিকৃত শব্দের পাশাপাশি অশ্লীল ও নোংরা গালাগালির ব্যাপক সমাহার ঘটেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব কুরুচিপূর্ণ ব্যঙ্গ বা ভিডিওর প্রতি মানুষের আগ্রহ কম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এদের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়।

আবারও বঙ্গবন্ধু টানেলে দুর্ঘটনা, আহত ২

0

গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় টানেলের বোর্ড ভেঙ্গে গিয়েছে। এই ঘটনায় ট্রাকচালক ও তার সহকারী আহত হয়েছে।

টানেল সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ জানায়, গতকাল রাত আনুমানিক আটটার দিকে পণ্যবাহী একটি ট্রাক টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত আসছিল। ট্রাকের চালক অত্যন্ত দ্রুততার সাথে টানেলের ভেতরে প্রবেশ করে। টানেলের ভিতরে মাঝামাঝি স্থানে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রন হারায়। তখন ট্রাকটি টানেলের দেয়ালে গিয়ে ধাক্কা খায়। এর ফলে টানেলের বোর্ড
ভেঙ্গে যায় এবং ট্রাকের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় আহত ট্রাকের চালক ও তার সহকারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পরপরই টানেলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক উদ্ধার করে টোল প্লাজায় নিয়ে যান।

টানেল কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী তানভীর রিফা বলেন, টানেলের টিউবের ভেতরে দ্রুতগতির একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে এ ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীরা গিয়ে ট্রাকটি উদ্ধার করেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রাখেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে জানান টানেল কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধনের পর থেকে গত তিন মাসের মধ্যে টানেলের ভেতরে-বাইরে আটটি দূর্ঘটনায় প্রান গেল দুইজনের।

এমন আবহাওয়ার কারণ জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

0

আজ মঙ্গলবার, সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে গুমোট ভাব। বোঝার অবকাশ নেই এটা কি কোন শীতের সকাল নাকি বর্ষার সকাল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ঢাকায় আজ বৃষ্টি হতে পারে। আকাশে মেঘে ঢাকা থাকায় কুয়াশার মতো মনে হচ্ছে।

গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় আজ বৃষ্টি হবে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের অন্যান্য স্থানের আকাশ আংশিক মেঘলা হয়ে থাকবে। এসব স্থানের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় দরকার সুশাসন নিশ্চিত

0

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান। বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীদের দুর্বৃত্তায়ন ও অন্যায় বল প্রয়োগের দ্বারা ভূমির অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। স্থানীয় দুর্বৃত্ত ও চাঁদাবাজ জোরপূর্বক জমিদখল, জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দলিল করিয়ে নিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অধিকার সচেতনতা বাড়াতে হবে ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের ভূমি বিরোধ পরিবীক্ষণ নাগরিক প্রতিবেদন ২০২৩’ উপলক্ষ্যে একটি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ভূমি নিয়ে সহিংসতায় জীবন-জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। অনেকে অধিকার ক্ষুণ্ন হলেও আর্থিক, সামাজিক অবস্থান ও নিরাপত্তাজনিত ভীতির কথা বিবেচনায় প্রভাবশালীদের কাছে নতি স্বীকার করেন। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আমাদের অধিকার সচেতনতা বাড়াতে হবে ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

কখনো ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোতে অভিযোগ করে যথাযথ প্রতিকার পান না বলে জানান। কিছু সংখ্যক অদক্ষ ও দুর্নীতিবাজ কর্মচারীর কারণে জনগণের ভূমি অধিকার নষ্ট হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনার সব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।

জমিদারি ব্যবস্থা, সুদূর ব্রিটিশ আমল ও পাকিস্তানি আমল থেকে বীজ বপন হয়েছে। ভূমি সংঘাত ও দ্বন্দ্ব নিরসন করে ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৃজনশীল ও মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।

বান্দরবানের লামা সরইয়ের রেংয়েনপাড়া হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার ম্রোদের আবাসস্থল পরিদর্শন করেছি আমরা। যারা অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন। পাশাপাশি পুনর্বাসন না করে তেলেগু সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মনে করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কমিশন।

মিয়ানমারে তিন জেনারেলের মৃত্যুদণ্ড

0

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কাছে আত্মসমর্পণ করার পর এলাকার নিয়ন্ত্রন ছেড়ে দেয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গতকাল মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি চীন সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে জানা গেসে। সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এএফপি।

মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় তিন বছরের মাথায় জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা সেনারা।

বিদ্রোহীদের প্রচণ্ড আক্রমণের পর বহু এলাকা, সামরিক ঘাঁটি ও শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এর মধ্যে গত মাসে লোক্কাই নামে চীন সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা।

বিদ্রোহীদের হামলার মুখে শান রাজ্যের লোক্কাই শহরের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হয় সেনারা। থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের যোদ্ধাদের কাছে শত শত সেনা বিদ্রোহী জোট আত্মসমর্পণ করে।

গত বছরের অক্টোবর মাসে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করে বিদ্রোহীদের এই জোট। এরপর দেশের বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে গোষ্ঠীটি।

তবে মনে করা হয় এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগে কখনো এতটা তোপের মুখে পরেনি জান্তা সরকার। যদিও আত্মসমর্পণের পর শহরের দায়িত্বে থাকা সেনা কমান্ডার ও সেনাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

বিপর্যয়কর এই ঘটনার পর এক মাসের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এএফপির প্রতিবেদন মতে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার তিন সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারানো শহর লোক্কাইয়ের কমান্ডারও রয়েছেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনীর আরও একটি সূত্র।

তবে কবে, কখন কিংবা কোন আদালতে এই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এএফপি জানিয়েছে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার তিন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক আইনে অনুযায়ী শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে সামরিক ঘাঁটি ত্যাগ করতে হয়। এটির বরখেলাপকে অপরাধ বলে গন্য করা হয়। এর জন্য মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে সবশেষ মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য জান্তা মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

নাভালনির মৃত্যুর কারণ জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ

0

রাশিয়ার কারাগারে পুতিনের সমালোচক নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নাক গলানো’ বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ। খবর তাসের

রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, একজন মানুষের মৃত্যু সবসময়ই দুঃখজনক। এ পরিস্থিতিতে ঘটনার সমস্ত সত্যতা যাচাই না করে কোনো ধরণের মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে মার্কিন রাজনীতিবিদরা অপেক্ষা করতেই চান না। তদন্তের আগেই রাশিয়ান কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করছেন তারা।

তিনি বলেন, খুব সহজেই বোঝা যায় যে, রাশিয়ান ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপ করার অপচেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যু একটি অজুহাত মাত্র। এ ধরনের নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।

এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ নাভালনির মৃত্যু সম্পর্কে পশ্চিমাদের বিবৃতিকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে সমালোচনা করেছেন।

শুক্রবার নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকে দায়ী করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন।

জো বাইডেন পুতিনের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে কী পরিণতি ভোগ করতে হবে তা বলেননি বাইডেন।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও পুতিনের প্রতি নিন্দা জানিয়ে বলেন, নাভালনির মৃত্যু হলো পুতিনের নিষ্ঠুরতার আরেকটি লক্ষণ।

জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, রাশিয়া এর জন্য দায়ী।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নাভালনিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হত্যা করেছেন।

জেলেনস্কি বলেন, নির্যাতনের শিকার হাজার হাজার মানুষের মতো নাভালনিও পুতিনের হাতে নিহত হয়েছেন। এর জন্য পুতিনকে জবাবদিহি করতে হবে।

পৃথিবীর নতুন নিয়ন্ত্রক ওপেনএআই

0

ওপেনএআই হল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে নিজে থেকে ফলাফল প্রকাশ করে। ওপেনএআই Inc এর সমন্বয়ে গঠিত। এই সংস্থার লক্ষ্য হল কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা (AGI) এর মাধ্যমে সমস্ত মানবতার উপকার নিশ্চিত করা। কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত সিস্টেমগুলিকে বোঝায় যা সবচেয়ে মূল্যবান কাজে মানুষকে ছাড়িয়ে যায়।

২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে এলন মাস্ক, স্যাম অল্টম্যান, গ্রেগ ব্রকম্যান, ইলিয়া সুটস্কেভার সহ আরও অনেক প্রযুক্তিবিদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওপেনএআই-এর পিছনের ধারণাটি হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গবেষণা এবং উন্নয়ন এমনভাবে পরিচালনা করা যার দ্বারা মানবতার জন্য নিরাপদ এবং উপকারী, স্বচ্ছ, এবং নৈতিক বিবেচনা প্রদান করা।

ওপেনএআই-এর উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলির মধ্যে একটি হল জিপিটি (জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার) সিরিজের ভাষা মডেলের উন্নয়ন, যার মধ্যে রয়েছে GPT-3। এই মডেলগুলির কাজ হল প্রাকৃতিক ভাষা বোঝা এবং এই ভাষাগুলির সুষ্ঠু প্রয়োগ করা। এগুলির দিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের ফলাফল তৈরির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ওপেনএআই অত্যাধুনিক AI গবেষণায় নিয়োজিত, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করে এবং বৃহত্তর বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ে অবদান রাখার জন্য গবেষণাপত্র এবং মডেল প্রকাশ করে। সংস্থাটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলিকে মোকাবেলা করতে এবং মানবতার সুবিধার জন্য AGI উন্নয়ন নৈতিক বিবেচনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চেট জিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে, যা আমাদের যোগাযোগ, বিভিন্ন কিছু তৈরি করার উপায়কে অনেক সহজ করে দিয়েছে। চেট জিপিটি-এর চলমান বিবর্তন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করেছে।

পরবর্তী নির্বাচনের জন্যে বিএনপিকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন ওবায়দুল কাদেরের

0

পরবর্তী নির্বাচনের জন্যে বিএনপিকে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় এমন পরামর্শ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার থেকে বের হয়ে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন করবে বলে বক্তব্য করেছেন। দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার থেকে বের হয়ে আবার দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়া যায় না। এই বিষয় বিএনপির হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিত।

সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। কারামুক্তির পর তিনি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

যৌথ সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য বিরাট সম্মান বয়ে এনেছেন। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গুরুত্ব নিঃসংকোচে মেনে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানটা আমাদের শত্রুতার জন্য অনেকের উর্বর ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর, সেন্ট মার্টিনের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি অনেক বাজপাখির রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছেন।’

দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে গঠনসহ অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনার কথা জানান সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রতিটির অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরি। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সব শাখাকে ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।