আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে কাতার রয়েল অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ ফ্লাইটে তাঁর এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীতে বিরাজ করে ভিন্নরকম এক রাজনৈতিক উত্তেজনা। দলের নেতা-কর্মীরা প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নিতে সকাল থেকে বিমানবন্দর এলাকায় জমায়েত হতে থাকেন। একইসঙ্গে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, যিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে পা রাখলেন।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা দেশ ও জাতির জন্য অনেকটা খুশির খবর। বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে তাঁর এ প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত সহায়ক হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই দিনটি আমাদের জন্য শুধু আবেগ নয়, বরং রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ সম্ভব হবে।” পাশাপাশি তিনি দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে জুবাইদা রহমানের ফিরে আসা নিয়েও। ২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো তাঁর দেশে ফেরা দলীয় ভেতরেও সাড়া ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকৌশলে জুবাইদার সক্রিয় অংশগ্রহণ দলকে নতুন দিশা দিতে পারে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই প্রত্যাবর্তনকে কেউ কেউ দেখছেন নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক মাঠ গরম করার পূর্বাভাস হিসেবে। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের মতে, এটি নিছক কোনো তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক চমক নয়; বরং দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত দলটির একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা এবং জুবাইদা রহমানের পুনরাগমন বিএনপিকে নতুন করে সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ করবে—এমন প্রত্যাশা করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।