দেশে প্রতিবছর আনুমানিক ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ কোনো না কোনো ক্যানসারে আক্রান্ত হন। বর্তমানে ৬০ হাজার ক্যানসার রোগী চিকিৎসার আওতায় আছেন। চাহিদার ৮০ শতাংশ ক্যানসারের ওষুধ দেশে তৈরি হয়। তবে ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে এখনো বৈষম্য আছে।

বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাই বলেন, গ্রাম-শহর, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল—সব ক্ষেত্রে ক্যানসার চিকিৎসায় বৈষম্য আছে। বৈষম্য দূরীকরণে বিশেষ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ন্যাশনাল ক্যানসার কন্ট্রোল কাউন্সিলের অস্তিত্ব আছে শুধু কাগজ-কলমে।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মোয়াররফ হোসেন বলেন, একসময় চিকিৎসকেরা নিজেদের চেম্বারে ক্যানসার রোগীকে কেমোথেরাপি দিতেন। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেক রোগী বমি করতেন। এ অবস্থা দেখে অপেক্ষমাণ অনেক রোগী ভয়ে পালাতেন। পরিস্থিতি পাল্টেছে।

অধ্যাপক মোয়াররফ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি সমন্বিত ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র দরকার। জনসংখ্যা ১৬ কোটি ধরলে এমন ১৬০টি কেন্দ্র লাগে। কিন্তু দেশে এমন কেন্দ্র আছে মাত্র ২২টি।

দেশে স্তন ক্যানসার হু হু করে বাড়ছে উল্লেখ করে মেডিকেল অনকোলজি সোসাইটি ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক পারভীন শাহিদা আখতার বলেন, ৬০-৭০ শতাংশ ক্যানসার রোগীর রেডিও থেরাপির দরকার হয়। কিন্তু যৎসামান্য রোগী এই চিকিৎসার সুযোগ পান। তিনি বলেন, ‘ক্যানসার চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান বাড়িয়ে আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব না। ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের জোর দিতে হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here