Home জাতীয় ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের টানা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত, উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হেয়ার...

ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের টানা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত, উপদেষ্টাদের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হেয়ার রোড

0
7

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথের পরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজধানীর হেয়ার রোড এলাকায়। বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সরকার দলীয় দুই উপদেষ্টা—আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলমের—পদত্যাগের দাবিতে।

বুধবার রাতভর হেয়ার রোডে যমুনা ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর বৃহস্পতিবারও সেই কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন নেতাকর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমর্থকেরা হেয়ার রোডে জড়ো হতে শুরু করেন। সমবেত নেতাকর্মীরা “উপদেষ্টাদের পদত্যাগ চাই”—এমন স্লোগানে মুখরিত করে তুলেছেন পুরো এলাকা।

এ অবস্থানে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কাকরাইল থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দেখা গেছে, সাঁজোয়া যানসহ পুলিশ সদস্যরা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া সেনাবাহিনীরও একটি ইউনিট স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে সমর্থকেরা টানা সাত দিন নগর ভবনের সামনে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেছিলেন। তখনো তাদের দাবি ছিল একই—আসিফ মাহমুদ সজিব ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ। তবে এবার সেই আন্দোলন আরও সংঘবদ্ধ ও কৌশলী রূপে সামনে এসেছে।

নেতাকর্মীরা বলছেন, “এই আন্দোলন শুধুমাত্র ডিএসসিসি নিয়ে নয়, এটা এক ধরনের প্রতিরোধ। আমরা এই দুটি উপদেষ্টার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।”

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র।

পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইশরাক হোসেনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই দাবি আদায় করতে চান, তবে দমন-পীড়নের চেষ্টা হলে তারা উপযুক্ত জবাব দেবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আগামী দিনে সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here