বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাটা এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে যে, তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয় এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সাথেও তাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা এই ব্যাখ্যা দেয়।
বিবৃতিতে বাটা জানায়, “আমরা কিছু ভ্রান্ত দাবি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, যেখানে বলা হচ্ছে বাটা একটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি। এটি সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। বাটা গ্লোবালি একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত, পারিবারিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যার সূচনা হয় চেক প্রজাতন্ত্রে। প্রতিষ্ঠানটি কোনো রাজনৈতিক সংঘাত বা পক্ষপাতের সাথে যুক্ত নয়।”
বাটা আরও জানায়, বাংলাদেশে তাদের কিছু শোরুম সম্প্রতি ভাঙচুরের শিকার হয়েছে, যা এই ধরনের ভুল তথ্য ছড়ানোর পরিণতি হিসেবে ঘটেছে বলে তারা বিশ্বাস করে। এ ঘটনায় তারা গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং সকল প্রকার সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “বাটা ১৯৬২ সাল থেকে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা সবসময় আমাদের গুণগতমান, গ্রাহকসেবা এবং সকল সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান বজায় রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য সব সময় ছিলো মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা, কোনো ধরনের বিভেদ নয়।”
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ও ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি ভুলভাবে রাজনৈতিকভাবে সংশ্লিষ্ট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বাটার মতো দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কোম্পানির পক্ষ থেকে সরাসরি এমন ব্যাখ্যা আসা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ভুল তথ্য সামাজিক বিভ্রান্তি এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে, যা শুধু নিরীহ ব্যবসায়ী বা গ্রাহকদেরই ক্ষতি করে না, বরং দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ ও বৈশ্বিক ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণ্ন করে।
বাংলাদেশ সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এসব ভুল তথ্য দ্রুত যাচাই করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অঘটন প্রতিরোধ করা যায়।