বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫-এ মরণোত্তর ভূষিত করা হচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
সোমবার (৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আবরার ফাহাদের প্রতি শ্রদ্ধা
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে লেখেন—
“অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্ত চিন্তার এক প্রতিচ্ছবি—আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!”
আবরার হত্যাকাণ্ড ও তার প্রভাব
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতের বেলা বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন সদস্য আবরারকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। আবরার ফাহাদ তার ফেসবুক পোস্টে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থবিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, যা তার নির্মম হত্যার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে আলোচিত হয়।
আবরার ফাহাদ: এক আদর্শের নাম
আবরার ফাহাদ এখন শুধু একটি নাম নয়, ন্যায়বিচার, মুক্তচিন্তা ও শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তার স্মরণে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকে।
স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫-এ ভূষিত হওয়ার মাধ্যমে তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।