দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল মুহূর্তে আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচ তখনও চলমান, কিন্তু গ্যালারির একাংশে হলুদ জার্সি পরা একদল সমর্থকের উচ্ছ্বাস জানিয়ে দিল চ্যাম্পিয়ন কারা! শেষ বাঁশি বাজার পর সেটাই পরিণত হয় ব্রাজিলের শিরোপা উদযাপনে।
অবাক করার মতো বিষয় হলো, এই টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের শুরুটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তারা। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, শিরোপার দৌড় থেকে ব্রাজিল কার্যত ছিটকে গেছে। কিন্তু উত্থান-পতনের চরম নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত সেই আর্জেন্টিনাকেই হতাশায় ডুবিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো সেলেসাওরা, যা তাদের জন্য টানা দ্বিতীয় এবং মোট ১৩তম শিরোপা।
শেষ ম্যাচের রোমাঞ্চ
চূড়ান্ত পর্বে ৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পয়েন্ট ছিল সমান ১০। শিরোপার জন্য শেষ ম্যাচ নির্ধারণী হয়ে ওঠে।
ব্রাজিল প্রথমে মাঠে নামে চিলির বিপক্ষে। ৭২ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে চাপে থাকলেও, শেষ ১৭ মিনিটে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ৩-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেন ডেভিড ওয়াশিংটন, পেদ্রো ও রিকার্ডো ম্যাথিয়াস।
এই জয়ের ফলে ব্রাজিল ৩ পয়েন্টে এগিয়ে যায় এবং (+৪) গোল ব্যবধান নিশ্চিত করে, যা আর্জেন্টিনার জন্য সমীকরণ আরও কঠিন করে তোলে।
পরবর্তীতে আর্জেন্টিনা মাঠে নামে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। তাদের শুধু জয় নয়, শিরোপা নিশ্চিত করতে ৪ গোলের ব্যবধানও প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে বসে, যা ব্রাজিলের শিরোপা নিশ্চিত করে।
ব্রাজিলের স্বপ্নময় সমাপ্তি
টুর্নামেন্টের শুরুতে ৬ গোল খাওয়ার লজ্জা ভুলে গিয়ে ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রমাণ করল, ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প সবসময়ই রোমাঞ্চকর হয়। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নতুন প্রজন্মের জন্য এটি এক অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে থাকবে।