তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠ হবে কিনা তা নিয়ে ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও বলেন ‘নির্বাচনে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা’ দেওয়া দরকার। তিনি জানান, ‘২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তখন তা গোপালের ভূমিকা পালন করেছেন। তারা শুধুমাত্র ডানে বা বামে ঘুরে দেখেছেন, তাদের হাতে ব্যবস্থা গ্রহন করার কোনো ক্ষমতা ছিল না।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারণা কার্যক্রম চলাকালীন সাংবাদিকদের তিনি এ দাবির কথা জানান।
সম্প্রতি উপজেলার কাঞ্চন বাজারে ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে তৈমুর বলেন, ‘কাঞ্চনে সরকারদলীয় দুইপক্ষের লোকজন যেভাবে রাম দা, দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তাতে এখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছি।
‘নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না। পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে’, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের মধ্যেই যদি এ রকম খুনোখুনি শুরু হয়, আর এর যদি কোনো ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন না। তিনি তাহলে কীভাবে আমাদের নিরাপত্তা দেবেন? তাহলে তো বিরোধী দলের কথাই সত্য হবে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। ‘
সেনাবাহিনীকে ‘বিচারিক ক্ষমতা’ প্রদানের দাবি জানিয়ে তৈমুর বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে নামানো হবে, আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু সেনাবাহিনীকে সাক্ষী-গোপাল করে রাখা যাবে না। যেখানে সন্ত্রাস সেখানে প্রতিরোধ করতে পারার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে হবে৷ জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করতে পারে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য৷’
তৃণমূল বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘রাস্তাঘাটে ঘুরে না বেড়িয়ে সেনাবাহিনী যেন কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে৷ কারণ ভোট জালিয়াতি হয় কেন্দ্রে৷ নতুবা সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’
তৈমুর বলেন, ‘দেশের প্রায় সব জায়গায় তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা সরকারের পার্থী দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা কোন পোস্টার লাগাতে পারছে না। আমি নিজে আমার এলাকার পোস্টার রাতের পর আর খুজে পাচ্ছি না। আমি এ ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়েছি দেখি তারা কি ব্যবস্থা নেয়।’