ওয়াজ মাহফিলে দোকান বসানো কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুরে উপজেলা মহেশপুর ইউনিয়নের ধানজাইল গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি ধানজাইল পূর্বপাড়া বাইতুন নুর জামে মসজিদে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মাহফিলে দোকান বসানো নিয়ে ওই গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে মেহেদী মিয়া ও মনোয়ার মোল্যার ছেলে হাসান মোল্যার মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত গণ্যমান্য লোকজন সমঝোতা করে দেন। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে হাসান মোল্যার চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান আলফাডাঙ্গা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুর এলাকায় পৌঁছালে মেহেদীসহ ১২ যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
পরে দু’পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি, রামদা ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- মো. হাবিবুর রহমান মোল্যা (৫৫), সানোয়ার মোল্যা (৫০), সোহেল মোল্যা (৩৫), মমিন মোল্যা (২৫) রতন মোল্যাসহ (২৪) ১০ জন। গুরুতর আহত রতনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কাশিয়ানী থানার এসআই মো. আজিজুর রহমান বলেন, ওয়াজ মাহফিলে দোকান বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।