রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) সামনে ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হামলার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। এ ঘটনায় তিনি ছাত্রদলের নেতা আহমেদ শাকিল ও তার সহযোগীদের দায়ী করে তাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এনএসইউ’র সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কি ঘটেছিল সেদিন?
সারজিস আলম তার স্ট্যাটাসে জানান, ইফতারের পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চায়ের আড্ডা ও মতবিনিময়ের জন্য তিনি সেখানে যান। রাত ১০টার দিকে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় ১০-১২ জনের একটি দল স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ শাকিল।
সারজিস আলম দাবি করেন, তিনি তাদের বক্তব্য শুনতে এগিয়ে গেলে তারা তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তিনি দুই পক্ষকে চলে যেতে বলেন এবং স্থান ত্যাগ করেন।
হামলার অভিযোগ
স্ট্যাটাসে সারজিস আলম অভিযোগ করেন, তিনি চলে আসার পরপরই ছাত্রদলের আহমেদ শাকিলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান।
এ ঘটনায় তিনি বলেন, “ছাত্রদলের শাকিল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী টোকাইলীগের মতো আচরণ করছে। অতীত থেকে শিক্ষা না নিলে তাদের ভবিষ্যতও টোকাইলীগের মতো হবে।”
দ্রুত বিচারের দাবি
সারজিস আলম তার স্ট্যাটাসে আহমেদ শাকিলসহ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করছেন, আবার কেউ পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে।
শেষ কথা
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জড়িত থাকা উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা।