সুজানগরে ইউএনওর কার্যালয়ে হামলা: বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

0
8
অভিযুক্ত মজিবর রহমান, বাবু খাঁ, মানিক খাঁ ও শাকিল খান। ছবি : সংগৃহীত

পাবনার সুজানগর উপজেলায় নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে হামলা ও জামায়াত নেতাদের মারধরের ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি।পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলা ও জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে মারধরের ঘটনায় বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

গতকাল মঙ্গলবার, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এই আদেশ জারি করা হয়। পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়।

ঘটনার পটভূমি

সোমবার বিকেলে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামানের কার্যালয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমিরসহ চার নেতাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাস্থলেই ইউএনওর সামনেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ইউএনওর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, হাঙ্গামা ও জামায়াত নেতাদের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে বিএনপির চার নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নোটিশপ্রাপ্ত নেতারা হলেন:

  1. মোহাম্মদ মজিবর রহমান – সুজানগর উপজেলা বিএনপি নেতা
  2. বাবু খা – পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক
  3. মোহাম্মদ মানিক খা – বিএনপি নেতা
  4. মো. শাকিল খান – সুজানগর এন. এ কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে

রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি

এই ঘটনার ফলে পাবনার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জামায়াত নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা বলেন, “এই ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে, জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন, “এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং এতে তাদের নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন।”

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

রাজনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

এই ঘটনার ফলে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিএনপি’র কারণ দর্শানোর নোটিশের পর এখন সবার নজর অভিযুক্ত নেতাদের জবাবের দিকে। তারা কী ব্যাখ্যা দেন এবং বিএনপি কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।


 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here