গতকাল রবিবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, “যদি এটি ইউক্রেনের জন্য শান্তি বয়ে আনে, যদি আপনারা সত্যিই চান আমি আমার পদ থেকে সরে যাই, আমি প্রস্তুত। আমি এটি ন্যাটো সদস্যপদের বিনিময়ে করতে পারি।”
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের মুখে জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেন। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “নির্বাচন ছাড়া একজন স্বৈরশাসক জেলেনস্কির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, না হলে তার আর কোনো দেশ থাকবে না।”
ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদকে বাদ দেওয়া অন্যতম। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছে, যা জেলেনস্কি উচ্চ খরচ ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের সম্মতি ছাড়া কোনো শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “আমরা এটি মেনে নিতে পারি না, কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে।”
বিশ্ব নেতারা আজ সোমবার কিয়েভে সমবেত হবেন যুদ্ধের অবসান ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে। জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, এই বৈঠক একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে জেলেনস্কি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা তিন বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে।