ভারতের নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছে। শনিবার রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, যখন মহাকুম্ভমেলায় যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার সময় অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে পড়েন।
নিহতদের মধ্যে ১১ জন নারী ও পাঁচজন শিশু রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মহাকুম্ভমেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া স্পেশাল ট্রেনের জন্য প্রচণ্ড ভিড় হয়েছিল, যা পরবর্তীতে অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
রেলওয়ের ডিসিপি কেপিএস মালহোত্রা জানান, প্ল্যাটফর্ম ১৩ ও ১৪ নম্বর থেকে স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। যাত্রীরা একসঙ্গে ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। দুই ট্রেনের দেরির কারণে ভিড় বাড়তে থাকে এবং মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ধাক্কাধাক্কির কারণে অনেক যাত্রী স্টেশনে পড়ে যান এবং পদপিষ্ট হন।
দিল্লি পুলিশের রেলওয়ে ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন,
“পদপিষ্টের ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে।”
শোক প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। রেলমন্ত্রী ঘটনাটির উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মহাকুম্ভমেলা ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যেখানে লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে অংশ নেন। তবে এই বিপুল জনসমাগমের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে। যাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থাপনা করেনি, যার ফলে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে।
ট্যাগ:
#মহাকুম্ভমেলা #নয়া_দিল্লি #রেলস্টেশন_দুর্ঘটনা #ভারত #পদদলিত #রেলওয়ে_নিরাপত্তা #নরেন্দ্র_মোদি