রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভের মূল কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিআরটিএ সম্প্রতি এক নির্দেশনায় মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ মিললে চালককে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে।
এ ঘোষণার প্রতিবাদে এবং নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছে, যার মধ্যে প্রধান দাবিগুলো হলো:
✅ বিআরটিএ নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর করা
✅ ঢাকা মেট্রোর জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার সিএনজি চালকদের নামে রেজিস্ট্রেশন প্রদান
✅ অতিরিক্ত ১৫ হাজার সিএনজি অনুমোদন
✅ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ
✅ আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার
✅ চালকদের প্রতি প্রশাসনের হয়রানি বন্ধ
✅ নো-পার্কিং মামলা বন্ধ করে পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করা
✅ অটোরিকশার জন্য মহাসড়কে নির্দিষ্ট লেন বরাদ্দ
✅ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং বিধিমালা ২০২৩-এর শ্রমিকবিরোধী ধারা বাতিল
এ নিয়ে গত ২০ জানুয়ারিতেও চালকরা বনানীতে বিআরটিএ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছিল। তবে এখনো কোনো কার্যকর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার হার অনুযায়ী, প্রথম দুই কিলোমিটারের জন্য ৪০ টাকা, এরপর প্রতি কিলোমিটারে ১২ টাকা এবং প্রতি মিনিটে ওয়েটিং চার্জ ২ টাকা ধার্য রয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, মিটারের ভাড়া কার্যকর না হওয়ায় ১৫০ টাকার নিচে কোনো গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব নয়।
চালকরা বলছেন, বিআরটিএ তাদের স্বার্থ বিবেচনা না করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই নয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।