রাজধানীর অন্যতম পরিবহন সুবিধা মেট্রোরেল আজ সোমবার সকাল থেকে চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশের এক সদস্য শারীরিক ও মৌখিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় প্রতিবাদস্বরূপ মেট্রোরেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
কী ঘটেছিল?
রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে বিনা টিকিটে এবং পরিচয়পত্র ছাড়াই দুই নারী সিভিল পোশাকে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন। তারা সুইং গেট ব্যবহার করে বের হওয়ার সময় দায়িত্বরত স্টাফ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে, এমআরটি পুলিশের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে তর্কে জড়ান।
এর কিছুক্ষণ পর আরও দুজন এপিবিএন সদস্য একইভাবে সুইং গেট ব্যবহার করে চলে যান। বিষয়টি জানতে চাইলে তারা আগের ঘটনার জের ধরে স্টাফদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ওপর শারীরিক হামলা চালান।
একজন কর্মীর কাঁধে রাইফেল দিয়ে আঘাত করা হয়, অন্য এক কর্মকর্তার শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে মারধর ও গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়। উপস্থিত স্টাফ ও যাত্রীরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আক্রান্ত কর্মীদের উদ্ধার করেন।
আহত এক কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, অন্যজন বাসায় ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
কর্মীদের ৬ দফা দাবি:
১. অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এসআই মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দিতে হবে।
২. মেট্রোরেল, কর্মী ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে হবে।
৩. এমআরটি পুলিশ বাতিল করতে হবে।
৪. স্টেশনে কর্মরত কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অনুমতি ও অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. আহত কর্মীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
পরবর্তী করণীয়
মেট্রোরেল কর্মীরা জানিয়েছেন, দাবি মানা না হলে তারা পরিষেবা বন্ধ রাখবেন। ফলে নগরবাসীর জন্য আজ সোমবার থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা।