শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহাত জামান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম সরকার।
গতকাল শুক্রবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
নতুন কমিটিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ
কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন—
সিনিয়র সহ-সভাপতি: মো. সোহাগ
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: নাজমুস সাকিব, মারুফ বিল্লাহ, মো. জহিরুল ইসলাম
সাংগঠনিক সম্পাদক: আদনান আহমেদ মোহন
দপ্তর সম্পাদক: শামসুজ্জামান প্রিন্স
ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক: রিমকাতুল রাশেদ অথৈ
ক্রীড়া সম্পাদক: ইফতেখার হোসেন সাকিব
সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মো. ইব্রাহিম খলিল নিয়ন
এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আরও বেশ কয়েকজন নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা আগামী দিনে শাবিপ্রবির ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন কমিটির সভাপতি রাহাত জামান বলেন, “শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।” সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার বলেন, “নতুন কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবে।”
এদিকে, নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা মিছিল ও আনন্দ র্যালির মাধ্যমে নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
শাবিপ্রবি প্রশাসন নতুন কমিটির প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে ছাত্রসংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা চাই, নতুন নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে না।”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে ছাত্রদল দীর্ঘদিন ধরেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে সক্রিয়। নতুন কমিটির নেতারা আগামী দিনে সংগঠনের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তাদের লক্ষ্য—সংগঠনের ঐক্য ধরে রাখা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো এবং গণতান্ত্রিক চর্চাকে এগিয়ে নেওয়া।