তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “এই সরকারের আমলে দেশ গঠনের সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেই বিদেশ থেকে সরকার পরিবর্তনের প্রেসক্রিপশন আসছে। তবে নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে খুনি, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।”
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
সরকারের কঠোর অবস্থান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ
মাহফুজ আলম জানান, সোমবার রাতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, “আমরা আগেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। সেই অনুযায়ী গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে। দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে সরকার তৎপর।”
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স
তথ্য উপদেষ্টা আরও জানান, ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় পর্যালোচনা সভায় উত্থাপিত হয়েছে। শিগগিরই এই বিষয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।”
গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের চ্যালেঞ্জ
সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা, এবং আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসনে ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার কিছু অংশ সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। একইসঙ্গে গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তিগুলোও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার এখন দেশি-বিদেশি শক্তিশালী জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী জনগণের ঐক্যকে বিভক্ত করতে চাইছে, যা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।”
বিদেশি চাপ ও নির্বাচনের ভবিষ্যৎ
বিদেশ থেকে সরকার পরিবর্তনের চাপে সরকার দমবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটবে। একইসঙ্গে খুনি, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, সরকার তার অবস্থান থেকে সরবে না এবং দেশের ভবিষ্যৎ রূপান্তরের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।