চাঁদপুরের কোড়ালিয়া এলাকায় একটি বহুতল ভবনের চতুর্থ তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। রবিবার (৯ মার্চ) ভোররাতে সাহরির প্রস্তুতিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন— আবদুর রহমান (৬৫), তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৬০), ছেলে হোসেন সর্দার (৩৫), পুত্রবধূ খাদিজা বেগম (২৫), নাতি মহিম সর্দার (১৪) ও নিবা আক্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাহরির জন্য রান্নাঘরের চুলা জ্বালানোর মুহূর্তে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পুরো ছয়তলা ভবন কেঁপে ওঠে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রান্নাঘরসহ আশপাশের তিনটি কক্ষ পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে দগ্ধদের উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।
চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান জানান, আহতদের মধ্যে হোসেন সর্দার ও নিবা আক্তারকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে খাদিজা বেগম, আবদুর রহমান, শাহনাজ বেগম ও মহিম সর্দারকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে, কারণ তাদের অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, খাদিজার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে, যা জীবনঘাতী হতে পারে। শাহনাজ বেগমের শরীরের ২০ শতাংশ, আবদুর রহমানের ১৮ শতাংশ ও মহিমের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ?
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরে দীর্ঘ সময় ধরে গ্যাস জমে ছিল, যা চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়। তবে ঘটনাটি তদন্ত করছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন।
সতর্কতা ও করণীয়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের লিকেজ শনাক্ত করা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। রান্নাঘর ব্যবহারের আগে গ্যাসের গন্ধ পরীক্ষা করা এবং রাতের বেলা গ্যাসের লাইন বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।