যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ রমজান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত বাড়াতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৩ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পরপরই। তবে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে হামাসের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধবিরতির শর্ত ও জিম্মিদের মুক্তি
নতুন চুক্তি অনুযায়ী—
🔹 গাজায় বন্দী অর্ধেক সংখ্যক জিম্মি মুক্তি পাবে; এর মধ্যে জীবিত ও মৃত উভয়ই থাকবে।
🔹 যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সমঝোতা হয়, তাহলে বাকি জিম্মিরাও মুক্তি পাবে।
গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ৪৮,৪০০
ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যা গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৮,৪০০-তে পৌঁছে দিয়েছে।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১,১১,৫৮৮ জন আহত হয়েছেন।
পূর্বের যুদ্ধবিরতি ও চলমান সংকট
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রতিদিন নতুন লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক চাপের ফল। তবে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত, কারণ হামাসের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এবং ইসরায়েলের চূড়ান্ত অবস্থান এখনো পরিষ্কার নয়।