ঢাকা শহরের যানজট এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের আন্দোলন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সম্প্রতি বিআরটিএ মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল, যেখানে চালকদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ড, কিংবা উভয় দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিআরটিএ। ফলে এখন থেকে রাজধানীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো মিটার ছাড়াই চলবে।
এছাড়া, বিআরটিএ’র কঠোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তারা ঢাকা শহরের রামপুরা, মিরপুর ১৪, এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, এবং ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ।
অবশেষে বিআরটিএ তাদের আগের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে এবং সিএনজি চালকদের আন্দোলনও প্রত্যাহৃত হয়েছে। ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে এবং ঢাকার যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ অনুরোধ করেছে।
বর্তমানে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ব্যবস্থা অনুযায়ী, সিএনজির প্রথম দুই কিলোমিটার ভাড়া ৪০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, ওয়েটিং বিল প্রতি মিনিটে দুই টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকায় অনেক সময় স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করতে ১৫০ টাকার নিচে টাকায় চলাচল সম্ভব হয় না।
এটি স্পষ্ট যে, যানজট এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া সমস্যা ঢাকায় দীর্ঘদিনের একটি বিতর্কিত বিষয়। সরকার ও বিআরটিএ’র তরফ থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে সড়ক ব্যবস্থায় কিছুটা স্বাভাবিকতা ফিরলেও, সিএনজির ভাড়া এবং মিটার ব্যবস্থার ওপর আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। এটি শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও সাশ্রয়ী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।