ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দী। আজ শনিবার তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসও তিনজন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের অনেকেই পশ্চিম তীরে পৌঁছেছেন, আর বাকিরা গাজায় ফিরবেন। এ খবরে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হয়ে অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
এক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, “আমরা উদ্বেগে ছিলাম, যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে ভেবে আমরা রাতে ঘুমাতে পারিনি। আমাদের চাওয়া, যুদ্ধবিরতি বজায় থাকুক, গাজা পুনর্নির্মাণ হোক এবং সব বন্দী মুক্তি পাক।”
হামাসের পক্ষ থেকে মুক্তি দেওয়া তিন ইসরায়েলি নাগরিক হলেন রুশ-ইসরায়েলি আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ, আর্জেন্টাইন-ইসরায়েলি ইয়ায়ার হর্ন এবং আমেরিকান-ইসরায়েলি সাগুই ডেকেল-চেন। গাজার খান ইউনিস থেকে তাদের রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হামাসের যোদ্ধারা একটি সাদা ভ্যান থেকে তিন জিম্মিকে বের করে এনে জনসমক্ষে উপস্থাপন করে। তাদের হাতে স্মারক উপহারও তুলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তিন জিম্মিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছিনতাই করা একটি গাড়িতে করে আনা হয়।
অন্যদিকে, তিন ইসরায়েলি নাগরিকের মুক্তির খবর পেয়ে তাদের স্বজনরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। পরিবারগুলোর সদস্যরা টেলিভিশনে মুক্তির দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
এ যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে ইসরায়েলও ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এই বন্দী বিনিময় ভবিষ্যৎ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।