বিপিএল এ জয়ে শীর্ষে থাকা রংপুর ব্যবধান বাড়াল কুমিল্লার সঙ্গে। রংপুর জিতল টানা ৬ ম্যাচ। ৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪, ১ ম্যাচ কম খেলা কুমিল্লার ১২। অন্যদিকে এ নিয়ে খুলনা হারল টানা ৪টি ম্যাচ। পয়েন্ট তালিকায় পাঁচেই থাকল দলটি, তাদের সমান ৮ ম্যাচ খেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে এগিয়ে ফরচুন বরিশাল।
টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়া রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না, দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও রিজা হেনড্রিকস মিলে ১৪ বল খেলে করেন মাত্র ৯ রান। চতুর্থ ওভারের মধ্যে দুজনই বোল্ড হন লুক উডের বলে। তবে শুরুর সেই ধাক্কা ভুলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী।
দ্বিতীয় ওভারে রনি ফিরলেও তৃতীয় ওভারে নাহিদুল ইসলামকে টানা দুটি ছক্কায় আক্রমণটা শুরু করেন সাকিব। পাওয়ারপ্লের শেষ ২ ওভারে আসে ৪৪ রান। নাহিদ রানার চারটি ওয়াইডের ওভারে ওঠে ১৮, এরপর নাসুম আহমেদের প্রথম ওভারে সাকিব তোলেন ২৬ রান—৩টি ছক্কার সঙ্গে মারেন ২টি চার।
২০ বলেই অর্ধশতক পান সাকিব, এ মৌসুমে যেটি তাঁর প্রথম। তখন পর্যন্ত মেহেদী একটু চুপচাপই ছিলেন, প্রথম ১৪ বলে তিনি তোলেন ১৭ রান। এরপর গতি বাড়ান তিনিও। মাঝে উডের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাকিব, ৩১ বলে ৬টি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ রান করে। তবে মেহেদী ঠিকই অর্ধশতক পান ২৮ বলে।
১৬তম ওভারে নাসুমের বলে মেহেদীর পর ১৭তম ওভারে রানার শিকার হন জেমস নিশাম, তাতে একটু স্বস্তি পায় খুলনা। কিন্তু নুরুল হাসানের ১৩ বলে ৩২ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ১২ বলে ১৭ রানের দুটি ক্যামিওতে ২০০ পেরিয়ে যায় রংপুর।
দিনের প্রথম ম্যাচে বড় লক্ষ্যে চট্টগ্রাম যেমন ভালো শুরু করেছিল, খুলনার শুরুটা অবশ্য তেমন ছিল না। পাওয়ারপ্লেতে ৪৬ রান তুলতে তারা হারায় এভিন লুইস ও এনামুল হকের উইকেট। লুইস এলবিডব্লু হন সাকিবের বলে, এনামুলের উইকেট ছিল তাহিরের প্রথম।
হেলসের উইকেট দিয়ে শুরু হয় খুলনার ধস, সে সময় ৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে হাবিবুরের উইকেট ছিল ইনিংসে তাহিরের পঞ্চম। আমের জামালের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলের এ মৌসুমে ৫ উইকেট নিলেন তাহির। এই পথে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটও পেয়েছেন তাহির। ডোয়াইন ব্রাভো, রশিদ খান ও সুনীল নারাইনের পর মাত্র চতুর্থ বোলার হিসেবে এ কীর্তি হলো এ লেগ স্পিনারের। অবশ্য এ ম্যাচ খেলেই ফিরে যাবেন বলে উইকেট নেওয়ার পর খ্যাপাটে দৌড়ের উদ্যাপন এবার আর দেখা যাবে না।