নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার মোঃ ছালাম সিকদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম সোহাগ (৩০), পাইনাদী এলাকার মৃত চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ওরফে চান্দু মনির।
অপহরণকারী পলাতক আসামিরা হলেন মুক্তা (২৬), রাজু (৩০), মাহবুব ওরফে জাফর (৩৫), নাদিম (৩৩), নিশাদ (৩২), হবুলের ছেলে সজল (২৭)।
পুলিশ জানায়, মাহাজাব উদ্দিন আদেল নামক একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ীকে প্রিন্টিং এর কাজ দেয়ার কথা বলে উক্ত অপহরণকারী চক্রের সদস্যের মুক্তা (২৬) তার ফোন থেকে কল দিয়ে কিছু প্রিন্টের কাজ আছে বলে দেখা করতে বলেন ব্যবসায়ীকে।
অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তি আসামি মুক্তিকে তার অফিস আসতে বললে উত্তরে নারী বলেন আমি মহিলা মানুষ যাওয়াটা কষ্টকর। আমার কারখানা মৌচাক এলাকায় আপনি ঐখানে আসলে ভালো হয়। অতঃপর মাহাজাব আদেল মৌচাক পৌছালে উক্ত নারী তাকে মৌচাক মাদ্রাসা রোডের নিজাম উদ্দিনের পাঁচ তলার একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে মাহাজাব কোনো মেশিন পত্রের বদলে ১০-১১ জন লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর চোখমুখ বেঁধে তাকে মারধর শুরু করে তারা।
তিনি আরো বলেন, মারধরের কারণ জিজ্ঞেসা করলে ভুক্তভোগীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে অপহরণকারী চক্র। মারধরের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাহাজাব তার মোবাইল নাম্বার থেকে তার স্ত্রী ঝরনা আক্তার নদীর ফোন নাম্বারে কল দিয়ে টাকা পাঠাতে বলে। তার স্ত্রীর টাকা পাঠাতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগী তার বন্ধুদের নিকট টাকার জন্য ফোন দিলে তার বন্ধু মোস্তফা ১৫ হাজার টাকা, মাসুদ ৫০ হাজার এবং রাকিব ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ১লাখ ৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের পাঠায় এবং ভুক্তভোগীর নিকট নগদ ১৭ হাজার টাকাসহ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। বাকি টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী পুলিশকে বিষয়টি জানালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথম আসামিকে আটক করলে তার দেওয়া তথ্যমতে বাকিদের নাম ঠিকানা বের করে পুলিশ ।
গ্রেফতার হওয়া আসামির দেহ তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) তদন্ত হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুজন আসামিকে গ্রেফতার সক্ষম হয়েছি। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ
