বাড়িটি জনশূন্য। মালিক মাঝেমধ্যে বেড়াতে আসেন। মাসে দুই-চার দিন থাকেন। তখনই ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎ। এরপরও গত আগস্ট মাসে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬১ টাকা। বিলের কাগজ হাতে পেয়ে চোখ ছানাবড়া হয়েছে বাড়ির মালিকের।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর আওতাধীন চাটমোহর উপজেলা সদরের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বাড়ির মালিক ও স্থানীয় ব্যক্তিরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া এমন ভুতুড়ে বিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের দাবি, বিলটি ভুলবশত তৈরি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিলে দেখা যায়, বাড়ির মালিকের নাম শ্রী অধির কুমার সরকার। তাঁর নামেই বিদ্যুৎ বিলটি তৈরি হয়েছে। আগস্ট মাসে তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন ৯০ হাজার ১৫০ ইউনিট। এ জন্য মোট বিল দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬১ টাকা। বিলটি প্রস্তুত করেছেন পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন। আর এতে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর দিয়েছেন সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অর্থ)।
অধির কুমার সরকারের ছেলে অর্ণব কুমার সরকার বলেন, তাঁরা ছয় পরিবারের সদস্যসহ সবাই ঢাকায় থাকেন। তাঁরা মাসে দুই-তিন দিনের জন্য পাবনার বাড়িতে আসেন। গত কয়েক মাসে গড়ে এক হাজার টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল আসেনি। হঠাৎ করে এই বিল দেখে সবাই ঘাবড়ে গেছেন। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বহুবার গ্রাহকদের ভৌতিক বিল দিয়েছে। মূলত অদক্ষ লোকজন দিয়ে বিল প্রস্তুত করার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে বিষয়টি জানানো হলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিলটির প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন বলেন, ভুলবশত বিলটি তৈরি হয়ে গেছে। মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হয়ই।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আকমল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরই বিল প্রস্তুতকারককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিলটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য গ্রাহকের বাড়িতেও কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। তবে মালিক এতে সাড়া দেননি। মূলত ওই মিটারে ৮৬২ টাকা বিল এসেছে। মানুষই তো ভুল করে। এটাকে বড় করার কিছু নেই।