জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পরিবর্তন করে নতুন কাঠামো প্রস্তাব করেছে। এতে ৬টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষার নম্বর পুনর্বণ্টনের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা বিষয়টি সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন প্রস্তাবিত সিলেবাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি
বর্তমানে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। নতুন সুপারিশ অনুযায়ী, আবশ্যিক বিষয়ে নম্বর পুনর্বণ্টন করা হবে:
✅ বাংলা রচনা – ১০০ নম্বর
✅ ইংরেজি রচনা – ১০০ নম্বর
✅ ইংরেজি কম্পোজিশন ও প্রিসিস – ১০০ নম্বর
✅ বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি – ১০০ নম্বর
✅ আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলি – ১০০ নম্বর
✅ সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ, পরিবেশ ও ভূগোল – ১০০ নম্বর
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বর) অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, একই গুচ্ছ থেকে সর্বোচ্চ দুটি বিষয় বেছে নেওয়া যাবে।
মূল্যায়ন পদ্ধতির পরিবর্তন
- মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০% নম্বর পেতে হবে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য।
- ইনটিগ্রিটি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে, যা হবে প্রাথমিক স্ক্রিনিংয়ের অংশ।
- বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল নম্বরসহ প্রকাশ করা উচিত, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় এবং প্রার্থীদের বিভ্রান্তি দূর হয়।
- পরপর তিনবার পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে আর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে না।
এই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়িত হলে বিসিএস পরীক্ষার কাঠামো আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও দক্ষ প্রার্থীদের নির্বাচনের উপযোগী হবে।