রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
গতকাল যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি ছিল সাততলা। ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের আরও রয়েছে খাবারের দোকান। সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের প্রতিদিনই ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১২ টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামাতে থাকেন।
ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাত দুইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান।
পরে জানা যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালেও একজনের মরদেহ রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।
আগুনে নিহত কাচ্চি ভাইয়ের কর্মচারী পটুয়াখালীর জুয়েলের স্ত্রী রেবা আক্তার জানান, রাত দশটা পাঁচ মিনিটে সব শেষ কথা হয়েছিল। এরপর অনেক ফোন করেছি, কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি। এখন স্বামীর মরদেহ পেলাম। আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল।