রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপির এক নেতা মারা গেছেন। আজ সোমবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই নেতার নাম মনিরুল ইসলাম (৫২)। তিনি গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার কাঁকনহাট স্টেশন পাড়া এলাকার আবেদ আলীর ছেলে। তিনি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একটি নাশকতার মামলায় গত ৭ নভেম্বর থেকে তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে মনিরুল ইসলাম গোসল করতে গিয়ে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাৎক্ষণিক তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবারের সদস্যের উপস্থিতিতে সুরতহাল শেষে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বেলা তিনটার দিকে পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, কারাগার থেকে বেলা ১১টার দিকে মনিরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন বলেন, গোদাগাড়ী থানায় তাঁর নামে নাশকতা মামলা ছিল। সম্ভবত তাঁকে ৬ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপি নেতাদের সরবরাহ করা মৃতের ছেলে আশিকের মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি বলেন, রাত আটটার দিকে তাঁর বাবার জানাজা। এ পরিস্থিতি আর কিছু বলতে পারছেন না।
গত শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সারা দেশে কারাগারগুলোয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভরপুর। কারাগারে যাওয়ার পর অসুস্থ হচ্ছে এবং ধুঁকে ধুঁকে সেখানে মরছেন।