ন্যাশনাল ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট
সোমবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এর পর শোভযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বন্ধু না থাকলেও শত্রুর অভাব নেই। কোনো নিউজ পক্ষে গেলে সাংবাদিক ভালো; বিপক্ষে গেলে খারাপ- এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাংবাদিকরা আছেন বলেই আমরা সমাজে এখনও সচেতন ও ভালোভাবে থাকতে পারছি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে এখন সবাই অনেক বেশি সচেতন। না হলে যে কোনো সময় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি নিহার সরকার অংকুরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন সরকার ও ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের প্রকাশনা ‘কলম’-এর বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। এ ছাড়া ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকারকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা’ দেওয়া হয়। আয়োজক সংগঠনের ৪ উপদেষ্টাকেও সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ এবং ‘ফিচার ও উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ বিভাগে তিনজন করে ছয় সেরা প্রতিবেদককে সম্মাননা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।