মানিকগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ চারজনের মধ্যে তিনজনই মারা গেছেন। তারা হলেন, গৃহকর্তা রাশেদুল ইসলাম (৩৮), তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও তিন বছরের সন্তান রিফাত।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ মারা যান সোনিয়ার আক্তার। এর আগে ৩১ অক্টোবর শিশু রিফাত ও ২৬ অক্টোবর রাশেদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী।
পারিবার, পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জে পৌরসভাধীন নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা (কসাই) করতেন রাশেদুল ইসলাম। এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন। ২৫ অক্টোবর সোমবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে একটি কক্ষে রাশেদুল ও মাংসের দোকানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (২৬) এবং অপর কক্ষে রাশেদুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০) ও তিন বছরের সন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর ৪টার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে দোকানে যাওয়ার কর্মচারী ফারুককে ডেকে উঠান। এরপর রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ফ্ল্যাটের একটি কক্ষের দেয়াল ধসে যায় এবং দরজা-জানালা ছিটকে আশপাশে পড়ে যায়।
এতে রাশেদুল, তার স্ত্রী সোনিয়া, শিশু সন্তান রিফাত ও কর্মচারী ফারুক দগ্ধ হন। তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে গুরুতর দগ্ধ রাশেদুল এবং তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় ও দগ্ধ অবস্থায় ফারুকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহত রাশেদুলের বড় ভাই মো. রসুলদী বলেন, গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় তার ছোট ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ অক্টোবর তার ভাই রাশেদুল, ৩১ অক্টোবর ভাতিজা রিফাত ও ৩ নভেম্বর ভাইয়ের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার মারা যান।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আবদুর রউফ সরকার বলেন, অগ্নিদগ্ধ চারজনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে সবাই মারা গেছেন।