শেষ হলো নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা

0
87

মানুষের উপচে পড়া ভিড়, বই বিক্রি, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চার দিনের নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা। নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টারে বইমেলার ৩১তম আসরটি বসে।

এবারই প্রথম উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জ্যামাইকা পারফরমিং আর্টস সেন্টার পরিণত হয় লেখক-প্রকাশক ও পাঠকদের মিলনমেলায়।

 

সেই সঙ্গে মেলা প্রাঙ্গণ জমিয়ে রাখেন নিউ ইয়র্কের সংস্কৃতিপ্রেমীরা।

 

kalerkantho

রবিবার (৩১ জুলাই) মেলার সমাপনী দিন প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল দেখেন। প্রকাশক, লেখক ও পাঠকদের সঙ্গে কথা বলেন। অংশ নেন বই আলোচনায়। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার একদম শুরু থেকেই আমি যুক্ত ছিলাম। এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। বিশেষ করে প্রবাসে বাংলাভাষী মানুষের অংশগ্রহণে এটি অন্যতম বড় একটি আয়োজন। এই মেলা আসলে একটি মিলনকেন্দ্র। এখানে এলে আমার সব সময়ই ভালো লাগে। ’

kalerkantho

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মেলায় এবার বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে ২০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে মেলায় বেচা-বিক্রিও ছিল প্রত্যাশা অনুযায়ী।

তিনি বলেন, এবারের মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য খোলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়া। ফলে মানুষের অংশগ্রহণে মেলা হয়ে ওঠে আরো প্রাণবন্ত।

ঢাকা থেকে অংশ নেওয়া অনন্যা প্রকাশনীর প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, কভিড-পরবর্তী সময়ে কার্যকর মেলা করা যায়নি। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচল। মেলায় বিক্রিও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, মূলত বাংলা একাডেমি, কলকাতার মেলার পর নিউ ইয়র্কের এ মেলাই বাংলা ভাষার অন্যতম বইমেলা। ফলে এর আকর্ষণ অন্য রকম।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) চার দিনের এই বইমেলা শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘যখন আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম তখনো ভাবতে পারিনি এত বড় একটি মেলায় আমি যোগ দিতে যাচ্ছি। এককথায় আমি বলব, এটি একটি অসাধারণ আয়োজন। বিপুল সংখ্যক পাঠকের অংশগ্রহণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ’

এবারের বইমেলায়, মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ভাষা গবেষক, লেখক অধ্যাপক গোলাম মুরশিদ। এ পুরস্কারের অর্থমান ৩০০০ ইউএস ডলার। ২০১৬ সালে কবি নির্মলেন্দু গুণকে প্রদানের মাধ্যমে এ পুরস্কারটি মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রবর্তন করে। এরপর শামসুজ্জামান খান, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, সেলিনা হোসেন ও সমরেশ মজুমদার এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এদিকে দেশি কবিতা বইয়ের জন্য শহীদ কাদরী গ্রন্থ পুরস্কার পেয়েছেন কবি মুজিব ইরম। মেলায় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ অন্য শিল্পীদের গান দর্শকদের জন্য বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here