তুমি যখন বড় হবে
ফুলের মতো উঠবে ফুটে
দেখবে সবাই একই চোখে
ভাববে তারা কেমন করে
সেটা জানতে চাই!
ঢেকে রাখো মুখটি তোমার
বুকটি যেন না দেখা যায়
হইছো তুমি বড় এখন
কী করে বোঝাই!
বাগানে যে ফুল ফুটেছে
তার মাঝেতে মধু আছে
মৌমাছিরা নেচে নেচে
সে মধু আনে সেচে
বাকি মধু মুখটি ভরে
পরাগ রেণু গায়ে করে
উড়াল দিয়ে পড়ে এসে
অন্য ফুলের গায়।
পরাগায়ন ঘটে শেষে
ফুলের মাঝে তাই।
পরাগায়ন করে গেল
বিনিময়ে মধু পেল
সে মধু নিয়ে গেল
মৌচাকে জমা হলো
দরকারে করিবে পান
এ ছিলো তাদের প্লান
হলো না সে প্লান পূর্ণ কখনও।
প্রকৃতির ব্যবহারে মুগ্ধ না হয়ে
খোলামেলা জীবনের বিসর্জন দিয়ে
বুন্ডিকে রাখা হলো পর্দার আড়ালে
ভাবনায় ঢুকে গেল
আখেরাত পার হবো
থাকিবো সুখে।
এ আশা যে দিল
সেই সর্বনাশ করিল।
কে করিল এ নিয়ম নুতন করে?
কুৎসিত কুচিন্তা আর প্রলোভন ছাড়া
নারী জাতি পেয়েছে কি ভালো কিছু আর?
বুন্ডির জীবনে যত সব বাধা
যার ফলে জীবনটা
ভরিল জটিলতায়
ভাবিতে হইবে এখন জীবন ভরে
শেষ নাহি হবে তার
চলিবে জীবন ভর
এমনি করে।
তুমি আমি রব শুধু
ক্ষণিকের তরে
প্রকৃতি চলিবে তার মতো করে
জানিতে পারিব না মোরা
সবকিছু তার।
শেষ হবে অপরিপূর্ণ
জীবনটি সবার!