তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিল জনজীবন। টানা কয়েকদিন ধরেই গ্রীষ্মের উষ্ণতা ছিল। শেষ রাতে ঢাকায় হঠাৎ বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে ঈদযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে এই বৃষ্টি।
রোববার দিবাগত শেষ রাতে এ বছরের রমজানের শেষ সেহরি খেতে উঠে মুসল্লিরা। রাত সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড় ও মুহুর্মুহু বজ্রপাত। এরপর বেড়ে যায় বৃষ্টির প্রাবল্য। সঙ্গে বাড়তে থাকে বাতাসের গতি। মুহূর্তে যেন শীতলতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে বজ্রপাতের তুলনায় বৃষ্টি ততটা হয়নি। ঝড় থেমে গেলেও ভোর ৫টা পর্যন্ত গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, রোববার রাতে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, রংপুর, ও নীলফামারী জেলা ছাড়াও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।