রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
এ সময় র্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে।
এক সাংবাদিক জয়শঙ্করের কাছে জানতে চান, ভারত কীভাবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর দেওয়ার আগেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।
জয়শঙ্কর তখন বলেন, আমার মনে হয়, এই প্রশ্ন আমাকে নয়, আপনারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে করুন।
গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ডিসেম্বর মাসে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে দ্বিপক্ষীয় যে কোনো আলোচনায় মুখ্য হয়ে উঠছে বিষয়টি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল ঢাকা। ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে টেলিফোনেও এ বিষয়ে আলাপ হয় মোমেনের।
এরপর চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে র্যাবের ভুমিকার কথা তুলে ধরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তবে নিষেধাজ্ঞা যে এখনই উঠছে না, সেটাও পরে বলেছিলেন।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা ভারত সহযোগিতা চেয়েছি।
আপনারা জানেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় কমিউনিটি অনেক শক্তিশালী। তারা অনুরোধ করেছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার। আমরা অনুরোধ করেছিলাম তাদেরকে।
তৃতীয় কোনো দেশের এমন সহযোগিতা চাওয়ার সমালোচনায় বিএনপি বলছে, এটা সরকারের ‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির’ প্রকাশ।