‘প্রতিবন্ধীদের প্রতিভা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’

0
91

বিশ্বের ৭৫ মিলিয়নের বেশি প্রতিবন্ধী মানুষ যাতে তাদের প্রতিভাকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে পারে এবং সমাজে যাতে পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিতে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করছি— স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ইভেন্টে উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ ও কাতার স্থায়ী মিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অটিজম স্পিক্সস যৌথভাবে ইভেন্টটির আয়োজন করে। প্রদত্ত বক্তৃতায় ড. মোমেন কোভিড-১৯ অতিমারির সময়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য বিশেষ সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারসহ বাংলাদেশের উত্তম অনুশীলনগুলো তুলে ধরেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা অনেক পরিবারকে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদাহরণ তুলে তিনি বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অটিজমের শিকার ব্যক্তিবর্গ ও তাদের পরিবার যে সকল চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক গঞ্জনা মোকাবিলা করছে তা প্রশমিত ও দূর করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, ও সংশ্লিষ্ট অংশীজন একসঙ্গে কাজ করছে।

ড. মোমেন আরও বলেন, জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০৭ সালে শুরু হওয়া ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’সহ জাতিসংঘের অটিজম সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহে বাংলাদেশ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার, নিউরোডেভোলপমেন্ট ডিসঅর্ডারসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধীতার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের আর্থ-সামাজিক চাহিদার সমাধান করা’ শীর্ষক সাধারণ-পরিষদ রেজুলেশন-৬৭/৮২ জাতিসংঘে পেশ করে, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, অটিস্টিক ব্যক্তিদের সর্বোত্তম জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে সমাজ আরও উদারভাবে এগিয়ে আসবে যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনী অংশে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- কাতারের সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবার মন্ত্রী মিজ্ মরিয়ম বিনতে আলী বিন নাসার আল-মিসনাদ, জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিজ্ মেলিস্সা ফ্লেমিং, জাতিসংঘের ডেসা এর পরিচালক মিজ্ ড্যানিয়েলা ব্যাস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক ওয়েরনার ওবারমিয়ের। প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অটিজম বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা। প্যানেল আলোচনা ছাড়াও অটিজমের শিকার ব্যক্তিবর্গের পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয় ইভেন্টটিতে।

এছাড়া অটিজমের শিকার ব্যক্তিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষ ভার্চুয়ালি এ ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here