ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগে বহুল আলোচিত বাণিজ্যের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ রোববার ক্যাম্পাসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন দপ্তর ও অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। ২০১৯ সালের ২৮ জুন ‘এবার ১৮ লাখ টাকায় চুক্তি, অগ্রিম ১০’ শিরোনামে অডিও ক্লিপসহ যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। পরে তদন্তে নামে দুদক। এর প্রেক্ষিতে ওই তিন শিক্ষককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়।
সূত্রমতে, ২০১৮ সালে ৬৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয় ইবি প্রশাসন। ওই নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে যুগান্তরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে টাকা দেনদরবারের অডিওক্লিপও যুগান্তরে তুলে ধরা হয়। তবে ২০১৯ সালের ২৮ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে ১৮ লাখ টাকা দেনদরবারে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম আব্দুর রহিম এবং অডিওতে সাবেক প্রক্টর প্রফেসর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের নামও আসে।
প্রথম দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হলেও সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের নামে তদন্ত কমিটি করা হয়নি। এ ঘটনায় তদন্তের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে একপাক্ষিক তদন্ত কমিটি হয়েছে দাবি করে শিক্ষক সমিতির চাপে আবার ও কমিটির আহ্বায়ক পরিবর্তন করা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলা বিভাগের তৎকালীন সভাপতি প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতনকে। অদৃশ্য কারণে শেষ সময়ে এসে তিনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। আজও ওই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান বলেন, ‘দুদক থেকে একজন কর্মকর্তা এসেছেন। আমাদের কাছে যে সব তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি।