শনিবার ,২০ এপ্রি, ২০২৪
sbacbank
Home Blog Page 631

শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য তদন্তে ইবিতে দুদক

0

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগে বহুল আলোচিত বাণিজ্যের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সংস্থাটির উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মাজেদ রোববার ক্যাম্পাসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, বিভিন্ন দপ্তর ও অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। ২০১৯ সালের ২৮ জুন ‘এবার ১৮ লাখ টাকায় চুক্তি, অগ্রিম ১০’ শিরোনামে অডিও ক্লিপসহ যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যে সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। পরে তদন্তে নামে দুদক। এর প্রেক্ষিতে ওই তিন শিক্ষককে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হয়।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালে ৬৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয় ইবি প্রশাসন। ওই নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে যুগান্তরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে টাকা দেনদরবারের অডিওক্লিপও যুগান্তরে তুলে ধরা হয়। তবে ২০১৯ সালের ২৮ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে ১৮ লাখ টাকা দেনদরবারে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএম আব্দুর রহিম এবং অডিওতে সাবেক প্রক্টর প্রফেসর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের নামও আসে।

প্রথম দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হলেও সাবেক প্রক্টর মাহবুবর রহমানের নামে তদন্ত কমিটি করা হয়নি। এ ঘটনায় তদন্তের আগেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে একপাক্ষিক তদন্ত কমিটি হয়েছে দাবি করে শিক্ষক সমিতির চাপে আবার ও কমিটির আহ্বায়ক পরিবর্তন করা হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলা বিভাগের তৎকালীন সভাপতি প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতনকে। অদৃশ্য কারণে শেষ সময়ে এসে তিনি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। আজও ওই প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আতাউর রহমান বলেন, ‘দুদক থেকে একজন কর্মকর্তা এসেছেন। আমাদের কাছে যে সব তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি।

মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা প্রাথমিকে মূল্যায়ন

0

মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫০ নম্বরে দেড় ঘণ্টায় হবে এই পরীক্ষা। তবে তাদেরকে ১০০ নম্বরেই মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ৫০-এর মধ্যে ৪০ নম্বর থাকবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০ নম্বর থাকবে বৃক্ষরোপণ এবং সপ্তম-নবম শ্রেণিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপরে ১০ নম্বর প্রদান করা হবে। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার পরিবর্তে বাড়ির ও ক্লাসরুমে দেওয়া কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত আছে। গত বছরও এই স্তরের শিক্ষার্থীদের একই প্রক্রিয়ায় নতুন শ্রেণিতে তোলা হয়েছিল।

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ইতোপূর্বে বাতিল করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের সমাপনী বা পিইসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা না হলেও এসব শিক্ষার্থীকে অবশ্য আনুষ্ঠানিক সনদ দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পরিবর্তে এখন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের কাজের ওপর মূল্যায়ন করার ব্যাপারে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে চিঠি পাঠিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম রোববার যুগান্তরকে জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে গত বছরের মতোই ‘ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টের’ (বিকাশমান বা দৈনিক মূল্যায়ন) মাধ্যমে পরের শ্রেণিতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, সংক্ষিপ্ত পরিসরে বার্ষিক পরীক্ষা এবং অন্য নির্ধারিত বিষয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে নতুন শ্রেণিতে তোলা হবে।

প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এদের মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থী আছে প্রায় ৫৫ লাখ। ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলে দেওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৈনিক স্কুলে আসছে। প্রথম শ্রেণিতে একদিন আর অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসছে সপ্তাহে দুদিন করে। এসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে লেখাপড়া শ্রেণিকক্ষেই সেরে ফেলার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা যেদিন ক্লাসে আসে সেদিন পড়ানোর পাশাপাশি বাড়ির কাজ দেওয়া হয়। শিক্ষক তা ফিরতি ক্লাসে যাচাই করেন। এভাবে দৈনিক যে মূল্যায়ন হচ্ছে, এটার ভিত্তিতেই এখন পর্যন্ত পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত আছে।

আর মাউশি কর্মকর্তারা বলছেন, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবোর্ডের আদলে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পূর্ণমান হবে ৫০। এর সঙ্গে বছরব্যাপী তাদেরকে দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। এই দুটির ফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও একইভাবে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন হবে। সব শ্রেণিতেই বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত এই তিন বিষয়ে পরীক্ষা হবে। কোভিডকালীন স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্ন কতটা মেনে চলছে সেটার ওপর ১০ নম্বরে মূল্যায়ন করা হবে সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবার যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছিল, সেটার জন্য ১০ নম্বরে মূল্যায়িত হবে।

আরিয়ান খানের জ্বর, সাড়া দেননি এনসিবির সমনে

0

মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে তিন সপ্তাহ কারাগারে থেকে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। কারামুক্ত হলেও ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) ডাকে তাকে সাড়া দিতে হবে মাঝেমধ্যে।

রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিয়ানকে সমন জারি করেছিল এনসিবি। কিন্ত এদিন তিনি এনসিবি কার্যালয়ে যাননি। কারণ হিসেবে জানা গেছে জ্বরে ভুগছেন এই তরুণ। খবর এনডিটিভির।

এনসিবির এন্ট্রি ড্রাগ এজেন্সি জাহাজে মাদককাণ্ডের ঘটনায় আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এনসিবির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সিং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার মুম্বাই পৌঁছান। এদিন আবরাজ মার্চেন্ট ও অচিত কুমারকেও ডাকা হয়েছিল। তারা দুজন হাজির হলেও আরিয়ানকে দেখা যায়নি।

আরিয়ানের জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা ছিল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত। কিন্তু শাহরুখপুত্র হাজির হননি এনসিবি কার্যালয়ে। পরে এনসিবি কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, আরিয়ান জ্বরে ভুগছেন। এ কারণে তিনি এনসিবি কার্যালয়ে আসতে পারেননি।

এর আগে শুক্রবার ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) কার্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান।

মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে ২২ দিন জেল খেটে ৩০ অক্টোবর ছাড়া পান আরিয়ান। এর আগে আর্থার রোডের কারাগারে তিন সপ্তাহ থাকেন ২৩ বছর বয়সি এ তরুণ।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মুম্বাইয়ের মাদকবিরোধী সংস্থা আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদক পায়নি। তবে তার হোয়াটসঅ্যাপ আলাপে মাদক কেনাবেচায় সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়ার দাবি করে এনসিবি।

নিম্ন আদালতে দুদফা জামিন আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ২৯ অক্টোবর মুম্বাই হাইকোর্ট ১৪ শর্তে আরিয়ানকে মুক্তি দেয়। সেই শর্ত মোতাবেক আরিয়ান পুলিশকে না জানিয়ে মুম্বাই ত্যাগ করতে পারবে না। প্রতি শুক্রবার এনসিবি কার্যালয়ে তাকে হাজিরা দিতে হবে। এসব শর্ত না মানলে আরিয়ানের জামিন বাতিল হয়ে যাবে।

এদিকে আরিয়ানকে ছাড়ানোর জন্য ঘুস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির বিরুদ্ধে। অপরদিকে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক দাবি করেছেন, ক্রুজ পার্টি পুরোটাই সাজানো ছিল। আসলে আরিয়ানকে অপহরণ করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য ছিল। নবাব এই অপহরণের সঙ্গে এনসিবি কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে যুক্ত ছিলেন বলেও দাবি করেছেন।

যে কারণে এনসিবিতে হাজিরা দিলেন না আরিয়ান

0

ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি) ডাকে সাড়া দিলেন না শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান।

হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে শাহরুখপুত্রের দাবি, তার শরীরে করোনার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে হাজিরার তারিখ পিছিয়ে দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রোববার শাহরুখপুত্রকে তলব করেছিল এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দল। করোনার মতো উপসর্গের কথা জানিয়ে তিনি হাজিরা দেননি।

জ্বরের অজুহাতে কি আরিয়ান তলব এড়ালেন? তারকা-তনয়ের কোভিড রিপোর্ট দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিবি।

হাজিরা পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে আরিয়ানের আবেদন শোনা হবে কিনা, তা নির্ভর করছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলের ওপর।

আরিয়ানের সঙ্গে তার বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাই সমীর খানকে তলব করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

আরিয়ানকাণ্ডসহ মোট ছয়টি মামলার তদন্তভার এনসিবি মুম্বাই শাখার কাছ থেকে নিয়ে তুলে দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল জোনের হাতে। এখন এনসিবির সেন্ট্রাল ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় সিংহের তত্ত্বাবধানে ওই মামলাগুলোর তদন্ত চলবে।

আরিয়ানের মামলার তদন্তে তাই আর যুক্ত থাকতে পারবেন না এনসিবির মুম্বাই ইউনিটের জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে।

 

চাহাল না থাকায় ভারতের সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়

0

এবারের বিশ্বকাপে শূন্য হাতে ফিরেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারার পর মনোবলে যে চিড় ধরেছে তা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি কোহলিরা। যার ফলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও বাজেভাবে হেরে যায় কপিল দেবের উত্তরসূরীরা। এরপর ছোটদলগুলোর সঙ্গে বড় ব্যবধানে জিতলেও কোনো লাভ হয়নি ভারতের।

অথচ এবারের ভারতীয় দল হট ফেভারিট হিসেবেই খেলতে গিয়েছিল।

ভারতের এই বিপর্যয়ের জন্য ৫টি বিষয়টি দায়ী করেছেন দেশটির জাতীয় ক্রিকেটার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। এ নিয়ে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ লিখেছেন।

২০০৮ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল মনোজ তিওয়ারির। ২০১৫ সালে তিনি অবসর নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০৪ রানে অপরাজিত ইনিংস এখনও ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে ঝলঝল করছে।

নিবন্ধে তিনি লেখেন, ব্যক্তিগতভাবে বেশ কিছু কারণ খুঁজে পেলাম। তার মধ্যে পাঁচটি মূল কারণ বেছে নেওয়া হল।

নির্বাচনেই গলদ: নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা দল ঘোষণা করার দিনই বলে দিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যুজ়বেন্দ্র চহালের চেয়ে রাহুল চাহার বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। কারণ, গতির উপরে চাহার বল ঘোরাতে পারে। অথচ আইপিএল যতই এগোলো, দেখা গেল মরুশহরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে একের পর এক ম্যাচ জেতাচ্ছে চহাল। পিচ থেকে ওর মতো সাহায্য কেউই পাচ্ছে না। অন্য দিকে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই ছন্দপতন ঘটে চাহারের। প্রথম একাদশে নেওয়া না হলে, ওকে নিয়ে যাওয়া হল কেন? আর অশ্বিনের নির্বাচনও অবাক করেছে। আইপিএলেও ও সেরা ছন্দে ছিল না। কোন যুক্তিতে হঠাৎ বিশ্বকাপ দলে প্রবেশ করল, বুঝলাম না।

ধওয়ন কেন বাদ: আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ৫৮৭ রান করেছে শিখর ধওয়ন। আইসিসি প্রতিযোগিতায় অন্যতম সফল ওপেনার। দল নির্বাচনের পরেও আইপিএলে একের পর এক ম্যাচে রান করে গিয়েছে। নির্বাচকেরা বললেন, ধওয়নকে বিশ্বকাপে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এই কথার কোনও অর্থ খুঁজে পাইনি। বিশ্বকাপের জন্যই ক্রিকেটারেরা তৈরি হয়। সেখানেই বিশ্রাম? কে এল রাহুলের টেকনিক এতটাই মজবুত যে, মাঝের দিকে ওকে নামালেও রান করে দিতে পারত। রোহিত-ধওয়ন জুটির উপরে আরও এক বার ভরসা কি রাখা যেত না?

অলরাউন্ডারের অভাব: টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতার নেপথ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে অলরাউন্ডারদের। নিউজিল্যান্ড যেমন পেয়েছে জিমি নিশামকে। তেমনই ইংল্যান্ড দলে রয়েছে লিয়াম লিভিংস্টোন। পাকিস্তানে মোহাম্মদ হাফিজ়। অথচ আমাদের দলে রবীন্দ্র জাদেজা থাকা সত্ত্বেও ওকে এতটা পিছনের দিকে কেন নামানো হয়? জাদেজা কিন্তু ইনিংস সাজাতে পারে। কেন চার নম্বরে নামিয়ে ওকে দেখা হবে না? আইপিএলেই দেখা গিয়েছে হার্দিক পাণ্ড্য ছন্দে নেই। বলও করতে পারছে না। তবুও ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ওর কোনও পরিবর্ত খোঁজা হল না!

হার্দিক নিজেও জানাতে পারত আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ও তৈরি নয়। শট মারার সময় কোমর ঘুরছে না। শটে জোর নেই। আইপিএলেও দুবাই, আবু ধাবির মাঠের সীমানা পার করতে পারছে না। আইপিএলকেই যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তখন সেই প্রতিযোগিতায় ছন্দে থাকা ক্রিকেটারদের ওপর আরও বেশি ভরসা রাখা উচিত। যেমন বেঙ্কটেশ আয়ার, শিবম দুবে, ব্যাট ও বল হাতে হার্দিকের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারত।

পাক-হারের ধাক্কা: প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা ছিল সাংঘাতিক। এই ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে বাঁধভাঙা উত্তেজনা তৈরি হয়। যার প্রভাব ড্রেসিংরুমে পৌঁছে যেতে বাধ্য। ২০১৯ বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে হেরে প্রতিযোগিতায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান। এ বার বিরাট-বাহিনীর সঙ্গে সেই অঘটন ঘটল। তবুও ভারতীয় অধিনায়কের জন্যই শুরুর দিকের বিপর্যয় কাটিয়ে দেড়শো রানের গণ্ডি পেরিয়েছিলাম। কিন্তু দুবাইয়ের পিচে কোথায় বল ফেলে পাক ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করা যায়, তার উত্তর ছিল না আমাদের বোলারদের কাছে। এ ধরনের ম্যাচেই প্রয়োজন একজন রিস্টস্পিনারের। যে উইকেট তুলে ম্যাচের রং পাল্টে দিতে পারবে। চাহাল না থাকায় সেই স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। পাক ম্যাচের রেশ কাটার আগেই ভারতের সামনে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণই ছিল না আমাদের।

বিশ্রামের অভাব: বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ঋষভ পন্থ, রবীন্দ্র জাডেজা, আর অশ্বিনেরা জুন থেকে দেশের বাইরে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় ছিল। জৈব সুরক্ষা বলয় থেকে বেরোনোর সুযোগ পায়নি। জো রুটদের বিরুদ্ধে সিরিজ় শেষে আইপিএলের জৈব বলয়ে প্রবেশ করল। তার পরেই বিশ্বকাপ। বলয়ের মধ্যে টানা থাকতে থাকতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে এত গলদ ধরতে পারলে এই দিন দেখতে হত না।

সাড়ে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আইনি নোটিশ নিয়ে শোয়েবের প্রতিক্রিয়া

0

রেগে গিয়ে টিভি অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাওয়ায় এবং পরবর্তী সময় অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় শোয়েব আখতারের কাছে ১০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়েছে পিটিভি।

এ বিষয়ে আইনি নোটিশও পাঠিয়েছে পাকিস্তানের এই সরকারি টিভি চ্যানেল। তাদের অভিযোগ, চ্যানেলের খেলা বিভাগকে অবহিত না করে দুবাই ঘুরে এসেছেন শোয়েব। সেখানে অন্য একটি চ্যানেলের জন্য ভারতের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানও করেছেন। এতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভির মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

এদিকে পিটিভির পক্ষ থেকে এমন আইনি নোটিশ পেয়ে হতাশ ও বিব্রত শোয়েব আখতার। পিটিভির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’।

এক টুইটে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমার সম্মান ও খ্যাতি রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর পিটিভি এখন আমাকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। আমি একজন লড়াকু এবং এই লড়াই চালিয়ে যাব। আইন অনুযায়ী আমার আইনজীবী কাজ করবেন।’

 

মেহেরপুরে নির্বাচনি সহিংসতায় ২ ভাই নিহত

0

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার পাথুলী ইউনিয়নের রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার ও সাবেক মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

নিহত দুই ভাই হলেন— একই এলাকার সাহারুল হোসেন ও জাহারুল ইসলাম।

গ্রামবাসী জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আজমাইন হোসেন টুটুলের সমর্থকরা গ্রামে ভোট চেয়ে ফিরছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি পর্যায়ে যায়। পরে দুপক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আতিয়ার পক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই মারা যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন কমবেশি আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বামুন্দির কয়েকটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলেও গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। লাশ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

জ্যাকেটের পকেটে বোমা, বিস্ফোরণে উড়ে গেল আ.লীগ নেতার হাত

0

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণে শাহাজাদা মোল্যা (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার ডান হাত উড়ে গেছে।

রোববার রাত ৮টার দিকে কুন্দশী সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তা জামে মসজিদের সামনে লোহাগড়া-কালনা সড়কের ওপর এ ঘটনা ঘটে।

আহত শাহাজাদা মোল্যা মল্লিকপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মঙ্গলহাটা গ্রামের আকবর মোল্যার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে কুন্দশী সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তা মসজিদের সামনে বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখা যায়, বিস্ফোরিত বোমায় শাহাজাদা মোল্যার ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে হাড় মাংস উড়ে গেছে।

এ সময় তাকে মঙ্গলহাটা গ্রামের মামুন মোল্যা ও তোফায়েল শিকদার দ্রুত একটি অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ ও উপস্থিত লোকজন তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করেন।

টহলরত পুলিশের এএসআই কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের ভ্যান গাড়ি নিয়ে পার হওয়ার মাত্র ২০ গজ দূরে এলে বিকট শব্দ হয়। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে দেখি আহত শাহাজাদাকে দুজন যুবক অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর চেষ্টা করছে। সেখান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসি।

এদিকে আহত শাহাজাদা দাবি করেছেন, তিনি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় কে বা কারা তার ওপর বোমা হামলা করেছে।

লোহাগড়া থানার ওসি আবু হেনা মিলন জানান, আহত যুবক জ্যাকেটের পকেটে হাতে করে নিজেই বিস্ফোরিত বোমাটি বহন করছিল। পুলিশের গাড়ি দেখে আতংকিত হয়ে পালাতে গিয়ে তার পকেটে থাকা বোমাটি বিস্ফোরিত হয়ে ডান হাত উড়ে যায়। তাকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

দুই ইসরাইলি গোয়েন্দাকে অপহরণ

0

গোপন মিশনে থাকা ইসরাইলের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে অপহরণের দাবি করেছে অজ্ঞাত একটি সংস্থা।

আলজাজিরায় শুক্রবার মধ্যরাতে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে অজ্ঞাত ওই সংস্থাটির বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। খবর আরব নিউজের।

এতে সংস্থাটির দাবি করে, বিদেশে গোপন মিশনে থাকা দুই ইসরাইলি এজেন্টকে আটক করে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ সময় আটক দুই ইসরাইলির ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। এতে একজন নিজেকে ডেভিড বেন রৌসি এবং আরেকজন নিজেকে ডেভিড পেটি হিসেবে পরিচয় দেন।

সংগঠনটি এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও দুই ইসরাইলি সেনাকে অপহরণের দাবি করেছিল। তবে এ ব্যাপারে ইসরাইল এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হতে যাচ্ছে তুরস্ক

0

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের (এসএসবি) নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠান তুরস্ককে অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আত্মপ্রকাশে সহযোগিতা করছে।

এসএসবির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংস্থাটির প্রধান ইসমাইল দেমির এসব কথা বলেন। খবর ডেইলি সাবাহর।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রধান ইসমাইল দেমির বলেন, তুরস্কে ২০০২ সালে মাত্র ৬২টি প্রতিরক্ষা প্রকল্প চলমান ছিল। বর্তমানে তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৭৫০টি প্রকল্প পরিচালনা করছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে শুরু হয়েছে এগুলোর অর্ধেকের মতো প্রকল্প। আগে প্রজেক্ট ভলিয়ম ছিল মাত্র ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংকটের পর এসএসবিকে রাষ্ট্রীয় সংস্থায় রূপান্তর করা হয়।

অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা খাত এবং তার্কিশ আর্মড ফোর্সেসের (টিএসকে) আধুনিকায়নে ১৯৮৫ সালে তুরগুত ওজাল তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এসএজিইবি) প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানটি কাঠামো পরিবর্তন করে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের প্রধান বলেন, এরপর ২০০৪ সালের মে মাসে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় এবং জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল।

এসএসবির প্রধান বলেন, সাইপ্রাসে তুরস্কের অভিযানের পর থেকে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়তে থাকে। এ সময় স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিরক্ষা খাতের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।

দেমির বলেন, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প দেশের নিরাপত্তার জন্য স্থল, আকাশ, সমুদ্র, মহাকাশ এবং সাইবার স্পেসের ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে। আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়া দেশের একটি এবং আমরা প্রতিযোগিতামূলক পণ্য উৎপাদন করছি।

‘যদিও আমরা সব সময় বলে আসছি, আমাদের লক্ষ্য প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া। ভিন্ন অর্থে যদি বলা হয়, যে প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত আমরা সেটিই অর্জন করতে চাই’, যোগ করেন দেমির।

দেমির বলেন, মাত্র পাঁচ বছর আগেও তুরস্কের কাছে বলার মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে ‍কুরকুট, সানগার, হিসার এ+, হিসার ও+ ব্যবস্থা সার্ভিসে রয়েছে। আমরা নিজেদের প্রযুক্তির সাহায্যে মিলগেম জাহাজ, উভচর জাহাজ, সিসমিক গবেষণা জাহাজসহ বিভিন্নর ধরনের জাহাজ উৎপাদন করছি। সম্প্রতি উদ্ভাবনের তালিকায় যোগ হয়েছে এটিএকে-২ হেলিকপ্টার। আমরা মিসাইল প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা করেছি।

দেমির বলেন, এমএএম-সি এবং এমএএম-এল স্মার্ট যুদ্ধাস্ত্রের পাশাপাশি তেবার, এমএএম-টি, কেজিকে, এইচজিকে এবং এলজিকে-এর মতো নতুন যুদ্ধাস্ত্র সংযোজনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ মানবহীন যুদ্ধবিমান (ইউসিএভি) আরও কার্যকর করা হয়েছে।

‘আমরা শুধু ড্রোন প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছি তা নয়, অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তিতে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আমরা পোর্টেবল যুদ্ধাস্ত্র সিস্টেম, এরগনোমিক গ্রেনেড সরঞ্জাম, ফোল্ডেবল মাইন ডিটেক্টর এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিরুদ্ধে কার্যকর মিক্সার-ব্লান্টিং সিস্টেমসহ মাঠে আমাদের সৈন্যদের ব্যবহারিক সমাধান দিয়েছি।’