সবুজে মোড়ানো সম্ভাবনাময় বিলের বুকজুড়ে সাজানো ঝিঙে চাষ। এ অঞ্চলে দেখা যায় ঝিঙে গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলে আছে ঝিঙে । সময়ের সাথে সাথে ‘পাহাড়ের পাশের জমিতে ঝিঙে চাষে অর্থনেতিক স্বচ্ছলতার পথে হাঁটছে চাষীরা। মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের চাষী শফিউল করিম বাণিজ্যিক ভাবে ঝিঙে চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তুলনা মূলক কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় ঝিঙে চাষে ঝুঁকছেন তিনি। চাষযোগ্য জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে এসব ঝিঙে চাষ করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে ঝিঙে চাষ হয়েছে। উপজেলার জনতাবাজার-গোরকঘাটা প্রধান সড়কের হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী নয়াপাড়া গ্রামের পশ্চিমে ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। এই গ্রামীণ মেঠো পথের রাস্তার পাশে সারি সারি ঝিঙে গাছে ঝুলছে ঝিঙে । শফিউল করিম হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী নয়াপাড়া এলাকার মঞ্জুর আহমেদের পুত্র। ছোট-খাটো ও কৃষি কাজ করলে অভাব-অনটন পিছু ছাড় ছিলো না। দীর্ঘ দিন ধরে পান বরজের পাশপাশি জীবন-জীবিকার তাগিদে অবশেষে শুরু করেন ঝিঙে চাষ।
বাড়ির কয়েক কিলোমিটার দরুতে ¡ ৬০ হেক্টর জমিতে ঝিঙে চাষ করার মাধ্যমে শফিউল করিম বেকারত্ব জীবনের অবসান হয়। এখন সংসারে তাঁর ফিরে এসেছে আর্থিক সচ্ছলতা। আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি তাঁর। এলাকায় এখন একজন সফল ঝিঙে চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে তিনি ঝিঙে চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন । তার ঝিঙে চাষ দেখতে বা পাইকারী দামে ঝিঙে ক্রয় করতে ছুটে আসছেন ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বেচা বিক্রি চলছে পুরোদমে। শফিউল করিম জানান, তিনি জমি বর্গা নিয়ে ঝিঙে চাষ শুরু করেছেন। বর্তমানে তার ঝিঙে চাষে ৬০ মণের মতো ঝিঙে রয়েছে। আরো রয়েছে জমিতে। মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ঝিঙে চাষ করে লাভবান হচ্ছে চাষীরা। বড় মহেশখালী, হোয়ানক, শাপলাপুর, কুতুবজোম, কালারমারছড়া, মাতারবাড়ী সহ কয়েকটি ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর জমিতে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ মণ ঝিঙে তুলে বাজারজাত করছে চাষীরা। আমরা চাষীদের পরামর্শ সহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।