রাতভর নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে (পার্লামেন্ট) অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন। স্পিকারের পদত্যাগের পর তার ভাগ্য নির্ধারণী ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
স্পিকার আসাদ কায়সারের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেন ইমরান খান। পিটিআইয়ের সিনেটর ফয়সাল জাভেদ খান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরকারি বাসভবন থেকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন।
টুইটে তিনি লেখেন এইমাত্র ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর হাউস থেকে বিদায় দেখেছি। তিনি সদয়ভাবে বেরিয়ে গেলেন এবং মাথা নত করলেন না। তিনি পুরো জাতিকে উত্তোলন করেছেন।
শনিবার রাত ২টার দিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) সদস্য আয়াজ সাদিকের পরিচালনায় অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৩৪২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৭৪ জন ভোট দেন। যদিও বিরোধীদের ১৭২ জনের সমর্থন দরকার ছিল।
শনিবার গভীর রাতে ভোটাভুটি শুরুর কয়েক মিনিট আগে স্পিকার আসাদ কায়সার পদত্যাগ করেন। এ সময় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে তিনি পারবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর হাউস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কিছু আদেশ জারি করেছেন ইমরান খান। সাবেকে এ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক যোগাযোগের বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল জানান, অফিস ছাড়ার আগে ইমরান খান তার প্রধান সচিব আজম খানকে সংস্থাপন বিভাগে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইমরান খানের শেষ আদেশ নিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করেন শাহবাজ গিল।
এতে তিনি লিখেছেন, ইমরান খান তার পেশাদারিত্বের জন্য আজম খানের প্রশংসা করেছেন এবং ‘অত্যন্ত সততা ও অধ্যবসায়’ এর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কারণে তার পরিষেবার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আজম খানের বদলির আদেশ–সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে কর্মরত আজম খানকে অ্যাস্টাবলিশমেন্ট ডিভিশনে বদলি করা হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।