
সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ০৯ অক্টোবর ২২ ইং ভিকটিম নুরুল ইসলামের বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেম এর ইমু (imo) আইডি হতে একটি মেসেজ আসে “আমার টাকার প্রয়োজন, আমি বিকাশ নাম্বার পাঠাইলে টাকা দিও” । পরের দিন ১০ অক্টোবর ২২ ইং ভিকটিম নুরুল ইসলামের ইমু (imo) আইডিতে আর একটি মেসেজ আসে “আজকে বিকাশের রেট কত? “২৫০০০/=টাকা পাঠানো যাবে।
এরপর আরো কয়েকটি মেসেজ ও ভয়েজ মেসেজ আসে । ভিকটিম নুরুল ইসলাম সেই মেসেজের উপর ভিত্তি করে হ্যাকারদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে তিনবারে (২৫০০০+২৫০০০+ ১৫০০০)=৬৫০০০/= টাকা সেন্ড করে । পরবর্তীতে ভিকটিম তার বড় ভাইয়ের ইমু (imo) আইডি বন্ধ পেলে তার ভাবীর ইমু (imo) আইডি থেকে বড় ভাই মোঃ আবুল কাশেমকে ৬৫,০০০/= টাকা পাঠানোর কথা জানায় । প্রতিউত্তরে তার বড় ভাই কাতার প্রবাসী কাশেম তার ইমু (imo) অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং সেই ইমু (imo) আইডি হতে বিভিন্ন ইমু (imo) আইডিতে মেসেজ দিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছে । ভিকটিম তার প্রবাসী বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয় যে, তার টাকা হ্যাকারা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
তারাই ধারাবাহিকতায় গত ০৬ নম্ভেবর ২২ ইং ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহারকারী সংঘবদ্ধ ইমু (imo) আইডি হ্যাকার চক্রের মূলহোতাসহ ০৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,মোঃ আব্দুল মমিন (১৮)মোঃ রবিউল ইসলাম রবি (১৮)মোঃ শহিদুল ইসলাম (১৯)মোঃ সাব্বির (১৮)মোঃ চাঁন মোল্লা (৩৫) মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৬)।গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে ১২ টি মোবাইল ফোন,হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ১৯ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয় ।
ডিএমপি’র গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এর দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তরিকুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে ওয়ারী জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আহসান খান এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয় ।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র ওয়ারী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান উপ-পুলিশ কমিশনার মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা ।
বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব