Home জাতীয় জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংবিধান ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রস্তাব জমা দিল

জামায়াতে ইসলামী জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংবিধান ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রস্তাব জমা দিল

0
29

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সংবিধান, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কার বিষয়ে তাদের লিখিত মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে এই সুপারিশপত্র হস্তান্তর করে জামায়াতের প্রতিনিধিদল।

জামায়াতের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ

প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তার সঙ্গে ছিলেন—

  • সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ
  • কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

সংস্কারের প্রস্তাব ও জামায়াতের মতামত

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণের যে ধারণা জাতির সামনে পেশ করেছে, তার সঙ্গে দলটি দ্বিমত পোষণ করেনি। তবে তারা পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দিয়েছে।

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে সুপারিশ

জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুর ওপর জোর দিয়েছে। তারা মনে করে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলের আসন পাওয়ার সমান সুযোগ তৈরি হবে এবং গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা আশা করি, দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ শুরু করবে।”

সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কারের দাবি

জামায়াতে ইসলামী আরও সুপারিশ করেছে—

  1. সংবিধানের কিছু ধারা সংশোধন করে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা
  2. বিচার বিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীন করা এবং বিচারকদের নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা
  3. জনপ্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, যাতে কোনো দলীয় স্বার্থে প্রশাসনকে ব্যবহার করা না হয়
  4. দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা, যাতে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে

সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

জামায়াতের এই সংস্কার সুপারিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে মতামত আসতে শুরু করেছে।


 

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here